ঢোলাহাট কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি মৃতের পরিবারের।
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢোলাহাট: থানার মধ্যে পিটিয়ে খুনের বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মৃত আবু সিদ্দিক এর বাবা। জামিন নিশ্চিত করতে পুলিশকে দিতে হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
থানার মধ্যে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল ওই যুবককে। আদালতে দাবি আইনজীবীর। যদিও রাজ্যের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে। মারের কথা খারিজ করেছে রাজ্য। ৩ জুলাই রাত ৮:০৫ মিনিটে মৃত যুবকের কাকা মহসিন হালদার থানায় সোনার গয়না এবং নগদ টাকা চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
৪ জুলাই ভোর ৩:৪৫ হেফাজতে নেওয়া হয়।
রাজ্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায়, কিন্তু বিচারক জামিন দেন।
২৩ শে জুন থেকে থানার সিসিটিভি বিকল। এবিষয়ে কাকদ্বীপ আদালতের বিচারককে এবং Webel কে জানানো হয়েছে।
ভিডিওগ্রাফি করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে মৃতের জন্ডিস ছিল, যার কারণে তার ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। অভিযোগকারী কাকাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলেন।
অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ, ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং সংরক্ষণের নির্দেশ।
কাকদ্বীপ সাব-ডিভিশনাল হাসপাতালের ৪ ঠা জুলাইয়ের ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষন করতে হবে হাসপাতালকে।
যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ।
যে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে। দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহা সবকটি হাসপাতাল এবং যে নার্সিংহোমে আবু সিদ্দিকের মৃত্যু হয়েছে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে বলেছেন। ৪ঠা জুলাই চুরির অভিযোগে আবু সিদ্দিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর জামিন পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ঘোরার পর পার্কসার্কাসে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। এরপরই থানার ভিতর পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে সরব হয় মৃতের পরিবার। জানাগেছে, শুক্রবার ফের শুনানি এই মামলার।