বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: বৃদ্ধ শশুরের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হলেন পুত্রবধু। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর ভদ্রেশ্বরের পালপাড়ায়। মৃতার নাম মিঠু মিত্র। বয়স ৩৩ বছর। শশুরের নাম হিমাংশু মিত্র। তবে কি কারণে শশুর বৌমাকে খুন করেছে তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। সূত্র মারফত জানা যায়, শনিবার সকালে বৌমা মিঠু ও নাতনী তাদের ঘরে ঘুমোচ্ছিল। ছেলে নিলাংশু বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়ির সব দরজা বন্ধ করে দেয় শশুর হিমাংশু মিত্র। এবং বৌমায ঘরে ঢুকে কাঠারি দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। মাযের চিৎকারে পাশে শুয়ে থাকা দশ বছরের নাতনীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। বিভৎস এই ঘটনা দেখে সেও চিৎকার শুরু করে। তাদের চিৎকারে বাড়ির বাইরে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যায়। বাইরে থেকেই শশুরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে শশুর হিমাংশু তাদেরও মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এই খবর দেওয়া হয় ছেলে নিলাংশুকে। খবর পেয়ে সেও বাড়িতে ছুটে আসে। এরপর স্থানীয়দের সাহায্যে দরজা ভেঙ্গে রক্তাক্ত মিঠুকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কতর্ব্যরত চিকিৎসক মিঠুকে মৃত ঘোষনা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। বৃদ্ধ হিমাংশুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়, পুলিশকে স্থানীয়রা বাধা দেয়। পুলিশ তাদের আস্বস্ত করে বৃদ্ধকে থানায় নিয়ে যায়। চন্দননগর হাসপাতাল থেকে মিঠুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিস্তারিত দেখতে লিংকে ক্লিক করুন। https://youtu.be/gDcUjTkMaa8?si=nDHcl8P6qdYj7Aff
বৃদ্ধের ছেলে নিলাংশু জানিয়েছেন, তিনি রেলে কর্মরত। বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও দশ বছরের মেয়ে নিয়ে তার সংসার। বাবার সাথে স্ত্রী মিঠুর বনিবনা হত না। এই নিয়ে মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে অশান্তিও হত। তবে সেই কারণে তার স্ত্রীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না নিলাংশু।