বন্দনা ভট্টাচার্য, হুগলী : ‘যো ডরগ্যায়া ও মরগ্যায়া’ ট্রেন বাতিলের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিতে এসে ভারতীয় জনতা পার্টিকে কটাক্ষ করে এই মন্তব্য করলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবী, দরীদ্র মানুষের একশ দিনের টাকা ও আবাস যোজনার টাকা দুই বছর ধরে চক্রান্ত করে বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি সরকার। রাজ্য সরকার বারবার এই বিষয় নিয়ে জানালেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিষয়টির গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এরই প্রতিবাদে আগামী দুই ও তিন তারিখ রাজধানীর গান্ধী মূর্তীর পাদদেশে ও কৃষি ভবনে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
একশ দিনের কাজের শ্রমিকদের নিয়ে দিল্লী যাওয়ার জন্য দলীয়ভাবে একটি ট্রেন বুক করা হয়। কথা ছিল শ্রমিক ও তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতৃত্বদের নিয়ে শনিবার সকালে হাওড়া থেকে রাজধানীর উদ্যেশ্যে রওনা দেবে। সেই মত গোটা বাংলার একশ দিনের শ্রমিকরা শুক্রবার রাতের মধ্যেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এসে উপস্থিত হয়। হঠাৎই একদম শেষ মুহূর্তে রেল কতৃপক্ষ সেই ট্রেনটি বাতিল করে।
এরই প্রতিবাদে শনিবার হুগলীর চুঁচুড়া স্টশনে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রায় এক-দেড়শ কর্মী ও সমর্থক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। সকলে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা করে স্লোগান দিতে দিতে প্লাটফর্ম পরিক্রমা করে। এই প্রশঙ্গে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ভয় পেয়ে ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শ্রমীকরা দিল্লী পৌছে কোনো ভাবেই যাতে এই আন্দোলনকে সফল করতে না পারে তার জন্যই ট্রেন বাতিলের মত ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত সাহ। তবে এই ধরনের চক্রান্ত করে আন্দোলন আটকানো যাবে না। আগামী দুই তারিখ যে যেই ভাবে পারবে দিল্লীতে পৌছাবেই। কেন্দ্রীয় সরকারের আটকানোর ক্ষমতা হবে না বলেও জানিয়েছেন অসিত মজুমদার।