বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের জনগর্জন সভা আয়োজন করা হয়েছে ব্রিগেডে। চব্বিশের নির্বাচনে বিয়াল্লিশের লক্ষ পুরণের জন্য এই জনসভা। রবিবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী সমর্থকরা রওনা দিয়েছেন ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে। হুগলীর শ্রীরামপুর থেকেও তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এদিন জনসভায় যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে শ্রীরামপুর স্টেশনের টিকিট ঘরের সামনে একটি যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করে শ্রীরামপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীরামপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান গিরিধারি সাহা, শ্রীরামপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সন্তোষ সিং (পাপ্পু)সহ অন্যান্য নেতানেতৃ ও একাধিক তৃণমূলের পৌরসদস্যগন। কয়েকজন নির্দল পৌরপ্রতিনিধি সহ শতাধিক কর্মী সমর্থক এই কর্মসূচিতে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়ে জনগর্জন সভার উদ্যেশ্যে রওনা দেন।
সরস্বতী লাহা,তাপসী দালাল, পার্থ ব্যানার্জী, দীপঙ্কর সোম, প্রবীর লাহা, বিশ্বজিৎ কর্মকার,সৌম ব্যানার্জী, দীপঙ্কর চ্যাটার্জী, সঞ্জীব দাস, সুশান্ত সান্যাল,সুলতা সোম প্রমুখ ব্যাক্তিগন, যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন, কর্মসূচিতে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যাক্তিগন তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। এরপরে সকলে একসাথে ব্রিগেডের পথে যাত্রা শুরু করেন। নির্দল থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়ে, দুই নম্বর ওয়ার্ডের সরস্বতী লাহা সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছেন। গত পৌরসভা নির্বাচনে দলের হয়ে টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়াই করেন। দুটো বছর একেবারে ঘর বন্দী ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় সকলের জন্য এত উন্নয়ন মূলক কাজে করছেন। বাংলার মানুষকে সন্তান স্নেহে আগলে রেখেছেন, এতেই অনুপ্রাণিত হয়ে আবারও দলে ফেরার ইচ্ছে হল। আবারও দলের সকলের সাথে এক সাথে কাজ করা যাবে এটা ভেবে ভালো লাগছে।