মিড ডে মিল খেয়ে সন্তুষ্ট সাংসদ, কটাক্ষ বিজেপির।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলি: নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজে হাজির হলেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাথে ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। বড় দিনের ছুটির পর বৃহস্পতিবার থেকে পাঠ্যক্রম শুরু হয়েছে বিভিন্ন স্কুল কলেজ। এদিনই হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন হুগলি মহসিন কলেজ, ওমেন’স কলেজ, গরবাটি হাইস্কুল এ সব শেষে জ্যোতিষ চন্দ্র বিদ্যাপিঠে। জ্যোতিষ চন্দ্রে পৌছে রচনা বাচ্ছাদের জন্য তৈরি মিড ডে মিলের রান্না ঘর পরিদর্শনে যান। খাবারের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য খেয়ে দেখেন মিড ডে মিলের খাবারও। রান্না করা খাবার খেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সাংসদ বলেন, এই খাবার অত্যন্ত পুষ্টিকর। তেল মশলা ছাড়া খাবার সাস্থ্যের পক্ষেও ভালো। রান্না ঘরের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও তিনি প্রশংসা করেন। এই গোটা বিষয় নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। হুগলি জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, স্কুল কতৃপক্ষকে আগাম জানিয়ে, ঢাক ঢোল পিটিয়ে, সংবাদ মাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে স্কুল পরিদর্শনে গেছেন সাংসদ রচনা। এদিনের মিড ডে মিলের খাবার তো সাস্থ্যকর, পুষ্টিকর হবেই। আর এদিনের খাবার খেয়েই শিক্ষার্থীরাও শক্তিমান, সুপার ম্যান হবে,এটাই তো স্বাভাবিক। যদি উনি কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ করে প্রাক্তন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জীর মত যেতেন, তাহলে লকেটের মত তিনিও জানতে পারতেন বাচ্ছাদের জন্য তৈরি দৈনন্দিন খাবারের গুনগত মান কতটা নিম্নমানের।