হকার উচ্ছেদ অভিযান Hawker Eviction Campaign
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: বেশ কয়েকদিন ধরেই কোলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক পুরসভা এলাকায় হকার উচ্ছেদ অভিযান চলেছে। ফুটপাত ও সরকারি এলাকা বেআইনিভাবে দখল করে হকাররা ব্যবসা করছিল।
এর ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নির্দেশ দেন সরকারি জায়গা ও ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে। অন্যান্য পুরসভা এলাকার সাথে হুগলীর বিভিন্ন এলাকাতেও বেআইনিভাবে জবর দখলমুক্ত করতে হকার উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন মূখ্যমন্ত্রী।
এই নিয়ে অসন্তোষ দেখা যায় হকারদের মধ্যে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই ভাবেই রাস্তার পশে ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছিল। কিন্তু তাদের তুলে দিলে কি ভাবে সংসার চালাবে এই নিয়েই ক্ষোভ তৈরী হয় হকারদের মধ্যে। তারা পুনর্বাসন দাবি করে। এদের পুনর্বাসনের দাবিতে মঙ্গলবার চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। চুঁচুড়ার মন্ডল সভাপতি দেবমাল্য নিয়োগীর নেতৃত্বে এদিন দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এই প্রশঙ্গে দেবমাল্য বাবু বলেন, পুনর্বাসনের কথা না ভেবেই সরকার হকার উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছে। এই ব্যবসা থেকে যে আয় হয়,তাই দিয়েই এরা সংসার চালায়। এই আয় বন্ধ হলে, হকারদের সংসার চলবে কি উপায়ে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, হকারদের উচ্ছেদ করার আগে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিক সরকার।
দেবমাল্য নিয়োগী ছাড়াও এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, হুগলী জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ, সহ সভাপতি গোপাল উপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও কর্মী – সমর্থকগন। খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। ব্যস্ততম রাস্তার উপরে বেশ কিছুক্ষন বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়। এরপর পুলিশ আশ্বস্ত করলে, তারা বিক্ষোভ তুলে নেয়।
এই প্রশঙ্গে সুরেশ সাউ বলেন, চুঁচুড়া শহর জুড়ে তৃণমূল সরকারের নির্দেশে হকার উচছেদ করা হচ্ছে। রাস্তা চলচলে সুবিধা হওয়ার জন্য। কিন্তু এতগুলো মানুষের ভাত মেরে রাস্তার উন্নতি মেনে নেওয়া অসম্ভব। তাই পুনর্বাসনের স্বচ্ছ দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হলো। এই দাবি না মেনে হকারদের উচ্ছেদ করলে আগামীদিনে বিজেপি আরও বড় আন্দোলনে যাবে বলেও জানিয়েছেন সুরেশ সাউ।