ছয় হাজার নির্দল কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: দোলের এখনও বেশ কিছুদিন বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে শনিবার সবুজ আবীর খেলায় মেতে উঠলেন হুগলীর বৈদ্যবাটী শেওড়াফুলি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকগণ। এই প্রাক্ দোলের কারণ, এদিন ছয় হাজার নির্দল কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। আর সেই আনন্দেই আবীর খেলা। গত পৌর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেই দলের হয়ে টিকিট না পেয়ে নির্দলের প্রাথী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সেই সময় রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যারা তৃণমূল থেকে বেরিয়ে নির্দলের হয়ে প্রতিদন্ধিতা করছে তাদের আর দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবেনা। কিন্তু বৈদ্যবাটি পৌরসভার অন্তর্গত তিন নির্দল পৌর সদস্য শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পুনরায় দলে ফিরে আসেন। যারা এক সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পুরভোটে দলের হয়ে টিকিট না পেয়ে নির্দলের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। এরা হলেন, কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের হরিপদ পাল, সতের নম্বর ওয়ার্ডের দেবরাজ দত্ত ও চার নম্বর ওয়ার্ডের রাজু পাড়ুই। তাদেরই অনুগামীদের নিয়ে ব্যান্ড বাজিয়ে অবীর খেলতে খেলতে এই অনুষ্ঠানে এসে পৌছান। এই সময় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা উচ্ছাসে ফেটে পড়েন। সেই সময় আবীর খেলার সাথে চলে বাজি ফাটানো । ফাঁড়ির কাছে বাজির শব্দ কিছু সময়ের জন্য দেওয়ালীর কথা মনে করিয়ে দেয়। এই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন, বৈদ্যবাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান পিন্টু মাহাত সহ অন্যান্য পৌর সদস্য, পৌর সদস্যা, এবং বিশিষ্ট ব্যাক্তি বর্গ।
এই প্রশঙ্গে সদ্য তৃণমুলে যোগ দেওয়া হরিপদ পাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবর্দা উন্নয়ন মূলক কাজ করেন। মানুষের পাশে থাকেন। লক্ষীর ভান্ডারের টাকা বাড়িয়েছেন, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার না দিলে সেই টাকা দেবেন মূখ্যমন্ত্রী,একশ দিনের কাজের টাকাও শ্রমিকরা না পেলে পঁঞ্চাশ দিনের কাজের টাকা মূখ্যমন্ত্রী দেবেন। এই সব উন্নয়নের জন্য অনুপ্রাণিত হয়ে এই তিন পৌর সদস্য আবারও তৃণমূলে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজু পাড়ুই জানালেন, তারা প্রথম থেকেই তৃণমূলের হয়েই কাজ করেছেন। পুরনির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়, তৃণমূলের যে প্রার্থী ছিল তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কিছু সমর্থক তাকেই যোগ্য প্রার্থী হিসাবে সমর্থন করেছে। ভোটে জিতে তৃণমূলের হয়েই কাজ করেছেন। দলে ফিরে ভালো লাগছে। সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক অরিন্দম এই তিনজনের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। এদিনের সমাবেশে কর্মী সমর্থকদের সমাগমে বেশ কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়। সমাবেশের পর স্বাভাবিক হয়।