ভোটের ময়দান থেকে পিছিয়ে আসতে হল।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : প্রার্থী বাছাই করা নিয়ে তৃণমূলের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এলো আবার। মনোনয়ন জমা করেও শেষ মূহুর্তে ভোটের ময়দান থেকে পিছিয়ে আসতে হল হুগলীর পান্ডুয়া ব্লকের জামনা গ্রাম পঞ্চায়েতের গহমী গ্রামের তৃণমূল কর্মী পাপিয়া বারিককে। পাপিয়া জানান, গহমী গ্রামের তৃণমূল কর্মীরাই চেয়েছিলেন তাকে প্রার্থী করতে। সেই কথা দলকে জানালে দল অনুমতি দেয় তাকে প্রার্থী হতে। সেই মত তিনি মনোনয়ন জমা করেন। শুরু হয়ে যায় দেওয়াল লিখন।

তবে একেবারে শেষ মূহুর্তে প্রতিক নিতে গিয়ে জানতে পারেন তার পরিবর্তে প্রার্থী হিসাবে প্রতিক দেওয়া হয়েছে অন্য এক জনকে।ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান পাপিয়া বারিক। কেন এমনটা হল এই প্রসঙ্গে পাপিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে সরাসরি পান্ডুয়ার ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষকে দায়ী করে বলেন, সঠিক তদন্ত হলেই সব জানা যাবে। তবে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কোনো কাজ আর করবেন না। অবশ্য অন্য কোনো দলের হয়েও তিনি লড়বেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন

এই একই ঘটনা ঘটেছে উক্ত ব্লকের পাঁচগড়া তোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের নিয়লা গ্রামের তৃণমূল কর্মী অশোকা মন্ডলের সাথেও। তিনিও দলের সিদ্ধান্তে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। শুরু হয়েছিল দেওয়াল লিখনও। শেষ মূহূর্তে জানতে পারেন তার পরিবর্তে অন্য একজনকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে। অশোকা মন্ডল অবশ্য দলের সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এই বিষয়ে পান্ডুয়া ব্লকের সিপিএম নেতা রাজু মুর্মু বলেন তৃণমূল দলের ভিতরেই অন্তর্দন্ধ রয়েছে। এই সব তারই ফল।

তবে ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষের মতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরই নিজেকে প্রার্থী ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। প্রার্থী মনোনীত হবে দলের সিদ্ধান্তে।
