বিজেপির CP OFFICE ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে দুন্ধুমার।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: ” পিসি আর ভাইপো ছাড়া তৃণমূল দলের কারোর কোনো সম্মান নেই” সোমবার দলীয় একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে এই মন্তব্য করলেন হুগলীর সাংসদ লকেট চট্যোপাধ্যায়। এদিন হুগলীর চুঁচুড়ায় ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে “সি পি অফিস চলো” কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। হুগলীর দলীয় কার্যালয় থেকে বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা মিছিল করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অফিস ঘেরাও অভিযান শুরু করে। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিযানে সামিল ছিল বিজেপির জেলা স্তরের নেতা নেতৃবৃন্দ। পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের কোনো সম্মান নেই, কোনো সুরক্ষা নেই, আইন শ্রীঙ্খলার বেহাল দশা, নিয়োগ দুর্নীতি সহ তৃণমূলের একাধিক দুর্নীতির দাবি তুলে এদিনের প্রতিবাদ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযানকে ঘিরে প্রশাসনিক ভাবে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ছিল চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে। কোনো ভাবেই যাতে বিজেপির এই অভিযান পুলিশ কমিশনারের অফিসে বিশ্রীঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য পুলিশের তরফে সব রকম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। পুলিশ কমিশনারের অফিস যাওয়ার পথের তিনটি স্তরে ব্যারিকেড বসানো হয়। একাধিক আধিকারিক সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এই রাস্তায়। বিজেপির মিছিল ঘড়ির মোড় পর্যন্ত এলে পুলিশ মিছিল এগুতে বাধা দেয়। সেই সময়ই লকেট চট্টোপাধ্যায় ও দলীয় নেতাদের সাথে পুলিশের বচসা বাধে। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জোর করে প্রথম ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফেলে। শুরু হয় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলে সি পি কার্যালয়ে গিয়ে এসিপি-১ কে ডেপুটেশন জমা করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এরপর সংবাদ মাধ্যমকে লকেট জানান, সারা বাংলা জুড়ে দুর্নীতি চলছে। অন্যান্য রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘দিদি কোটিপতি’ বানাচ্ছেন, আর বাংলায় মহিলাদের অসম্মান করা হচ্ছে, সন্দশখালিতে পাঁচশ টাকার বিনিময়ে শেখ শাজাহানের কাছে মা বোনেদের যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। বাংলায় কোনো চাকরি নেই, বেকারত্বের জ্বালায় মানষিক অবসাদে ভুগছে যুবক যুবতীরা। অনেকে এই কারনে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর অবশ্য সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি এবং তাঁর পরিবার সুখে শান্তিতে থাকবে। বাকীদের কি হল তাঁর জানার দরকার নেই। আগামী দিনে ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে হবে। হুগলী লোকসভা জুড়ে মাফিয়াদের কেল্লা তৈরি হয়েছে। মাফিয়ারা নিজেদের ব্যবসা বজায় রাখার জন্য তূণমূলের ফান্ডে টাকা দেয়। এই সবের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়েই এদিনের ডেপুটেশন জমা করা হল, বলে জানালেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, এই সব মাফিয়া ফান্ডের বিষয় লকেটের ভালো জানা আছে। ও নিজে মাফিয়াদের থেকে কত টাকা তোলে সেটা বলুক। অপরাধ জগতকে দমন করার জন্য প্রশাসন আছে। এই সব মিথ্যে বলে মানুষের আর্শিবাদ পাবেনা। কান ধরে উঠ বোস করে মানুষের আর্শিবাদ নিক। তারপর কথা বলুক।