বন্দনা ভট্টাচার্য, হুগলি : বাসস্ট্যান্ড ফাঁকা, অথচ যাত্রী রয়েছে। এমনই চিত্র দেখা গেল হুগলীর একটি বাস স্ট্যান্ডে। বাস নেই কেন? উত্তরে এক যাত্রী বললেন, শুক্রবার রাজ্যের শাসকদলের শহীদ দিবস পালন কর্মসূচি রয়েছে। তাই বিভিন্ন রুটের কিছু বাস স্ট্যান্ড থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। অফিস, ব্যবসা, স্কুল কলেজ বা অন্য কোনো কাজের সাথে যুক্ত, এক কথায় এরা নিত্য যাত্রী। এছাড়াও রয়েছে জরুরী পরিসেবা, অর্থাৎ ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে যাওয়া। সকল ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

প্রতিবছরই রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী একুশে জুলাই (21st July) দিনটিতে ধর্মতলার বুকে শহীদ দিবস পালন করেন।
এই বছর শুক্রবার একুশে জুলাই সেই শহীদ দিবস। এই কর্মসূচীকে সফল করার জন্য কর্মী, সমর্থক সহ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে দলে দলে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ধর্মতলার সেই শহীদ দিবসের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য স্ট্যান্ডের বাস আগে থেকেই ভাড়া নেওয়া হয়েছে। হুগলীর একটি বাস স্ট্যান্ডে দেখা গেল গুটি কয়েক বাস। তার মধ্যে কয়েকটা বাসে নোটিশ লাগানো। তাতে বাস নাম্বার দেওয়া রয়েছে। নোটিশে দেওয়া নাম্বারের কিছু বাস সমর্থকদের নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। বাকি শুক্রবার সকালে যাবে।
ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ। এই প্রশঙ্গে হুগলীর জাতীয় কংগ্রেসের নেতা মইনুল হক বলেন, এমনিতেই জেলায় বাস পরিসেবা প্রায় বন্ধের মুখে গুটি কয়েক বাসই চলে। তার মধ্যে থেকেও কিছু বাস সরকারি সমাবেশের জন্য ভাড়া যাবে। আর যারা শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলিতে না গিয়ে নিজেদের জরুরী কাজে যাবেন, তারা চুরান্ত হয়রানির শিকার হবেন