“তৃণমূল হেরে যাওয়ার ভয়ে এইসব করছে” : লকেট চ্যাটার্জী।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: হুগলীতে বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর, ব্যানারে আগুন, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন মাত্র আর একমাস বাকি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসা।রাতের অন্ধকারে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর চালোনো হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির মনোনীত প্রার্থীর ব্যানার। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলী লোকসভার অন্তর্গত বলাগর বিধানসভার জিরাট হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে বিজেপির কার্যালয়ে কে বা কারা এই দুস্কর্ম করে। তবে হুগলীর বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জী সহ কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ এই কাজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী। এদিন ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে রামনবমীর শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বলাগরের প্রচুর মানুষ স্বতস্ফুর্ত ভাবে এই শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন। তাই দেখে তৃণমূলের হেরে যাওয়ার ভয় হয়েছে। সেই কারণে এই সব করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কর্মী এবং ভোটারদের।
এই প্রশঙ্গে লকেট চ্যাটার্জী বলেন, নির্বাচনের এক মাস আগে থেকেই তৃণমূল শুরু করে দিয়েছে। আসলে এরা ভয় পেয়েছে। রামনবমীর শোভাযাত্রায় মানুষের যোগদান এবং তাকে মানুষ যে ভাবে গ্রহণ করেছে এতেই তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তবে ওরা যত বেশি এইসব করবে, মানুষ বুঝতে পারবে যে তৃণমূল ভয় পেয়ে এইসব দুষ্কর্ম করছে, দলীয় কর্মী এবং মানুষকে ভয় দেখোনোর জন্য। পুলিশ কোনো রকম সহযোগিতা করেনি। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন লকেট চ্যাটার্জী। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে জিরাট বাসস্ট্যান্ডে দীর্ঘ সময় বিজেপি সমর্থকরা অবস্থান বিক্ষোভ করে। এই প্রশঙ্গে বলাগরের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বিজেপির সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, তৃণমূল পাগল না। কোন ঝগড়া হয়নি, মারামারি হয়নি, বাগ বিতন্ডা হয়নি, তাহলে তৃণমূল এমন কেন করবে? হয় এটা বিজেপির আভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে হয়েছে, না হয় নিজেরাই ভাঙ্গচুর করে আগুন লাগিয়েছে প্রচারের আলোয় আসার জন্য। এটা ওদের কাছে কোনো নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও লকেট নিজেই নিজের গাড়ি ভেঙ্গে প্রচারের আলোয় আসতে চেয়েছিল। এটা বিজেপির পুরোনো অভ্যাস। এই সব কাজের সাথে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয় বলেও জানালেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী।