প্রচারে বেরিয়ে রান্না করলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সম্পূর্ণ ঢপের কার্ড” মঙ্গলবার হুগলীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রশঙ্গে এই মন্তব্য করলেন হুগলী লোকসভার বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হুগলী লোকসভার বিজেপির প্রার্থী অভিনেত্রী লকেট চ্যাটার্জী। তিনি এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে গত নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। এবং আশি হাজার ভোটে জয়ী হয়ে তিনি পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই তিনি এখানকার মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন বলে দাবী করেছেন। মঙ্গলবার চুঁচুড়া বিধানসভার রাজহাট পঞ্চায়েতে প্রচারে যান লকেট চ্যাটার্জী। গ্রামের মানুষের সাথে জনসংযোগ করেন। এদিন রাজহাট ওলাবিবি তলায় রান্না পূজো উৎসব ছিল। সেখানে গিয়ে এই উৎসবে অংশ গ্রহণ করেন লকেট। পূজোর জন্য রান্নাও করেন। এরপর ভারতীয় জনতা পার্টির হুগলী সাংগঠনিক জেলা অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। পাঁচ বছরে অর্থাৎ ২০১৯ থেকে ২০২৪ পযর্ন্ত তিনি যা কাজ করেছেন তার একটা তালিকা প্রকাশ করেন।
এদিন তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে পুরো হুগলী অন্ধকার ছিল। কোন লাইট ছিলোনা। তারকেশ্বর যাত্রীরা অন্ধকারেই যেত। সেই সমস্যার সমাধান করেছেন তিনি। এখনও বহু মানুষের মধ্যে আলোর জন্য চাহিদা রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, এত বছর সরকার চালাচ্ছে, অথচ হুগলীর বহু জায়গায় আলো নেই। মঠ, মন্দির, বাজার এই সব জায়গায় কোনো লাইট ছিলোনা। যেখানে আলো নেই সেখানে শিল্প হবে কি করে। এই লোকসভারই তৃণমূল প্রার্থী তথা বান্ধবী রচনা ব্যানার্জী সম্মন্ধে তিনি বলেন, ও নতুন রাজনীতিতে এসেছে। তাই ও কিছু জানেনা। ও যদি রাজনীতি করে আসতো তাহলে ভালো হত। কিন্তু দিদি নম্বার ওয়ান এর মঞ্চ থেকে এসেছে। কয়েকদিন পরে ও বুঝতে পারবে তৃণমূল দলটাই পুরো ধোঁয়াশা হয়ে যাবে। তখন ও ভাববে এই পার্টিতে এসে কি ভুল ও করেছে। জুটমিল গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল থেকে কর্মচারীদের চাপ দেওয়া হয় সব নিয়ম মেনে নেওয়ার জন্য। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টী, জুটমিলের কর্মচারিদের সাথে আছে আগামী দিনেও থাকবে বলে সেফ জানালেন হুগলীর বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জী।