অভিষেকের হাতে উপহার মমতার।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কাকদ্বীপ: তৃণমূলে গোঁজ প্রার্থীদের কড়া বার্তা দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। ৫১তম দিনে নবজোয়ার কর্মসূচির শেষ দিনে কাকদ্বীপের ইন্দিরা ময়দান থেকে অভিষেক বলেন,‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোড়াফুল চিহ্ন নিয়ে যারা লড়াই করবেন, তাঁরাই দলের প্রার্থী। তারাই মা মাটি মানুষ ও মমতা ব্যানার্জির প্রার্থী। এই লড়াইয়ে পার্টির সঙ্গে যারা বেইমানি করবে তাদের রেয়াত নয়। তাদেরকে কোনভাবে ক্ষমা নয়।

পার্টি যতদিন থাকবে, ততদিন এদেরকে আর দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।’ শুক্রবার এই সভায় নবজোয়ার কর্মসূচির সাফল্য তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ৬০ দিন আগে এই কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। এই দু’মাস আমি বাড়ি ফিরিনি। যখন শুরু করেছিলাম, তখন অনেকেই বলেছিলেন, চার দিনও বাইরে থাকতে পারব না। কিন্তু আমরা পেরেছি। এরমাঝে ইডি, সিবিআই চেষ্টা করেছিল এই কর্মসূচি বানচাল করতে। কিন্তু পারেনি। কোন চক্রান্তের কাছে মাথা নত করিনি।’ এই কর্মসূচির অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগমথিত হয়ে পড়েন অভিষেক।

তিনি বলেন,‘ ৬০ দিন আগে যখন এই কর্মসূচি শুরু করেছিলাম, তখন আমি একরকম ছিলাম। কিন্তু আজ আমি সম্পূর্ণ নতুন মানুষ। অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরে গেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে মিলিত হয়েছি। চল্লিশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় হেঁটেছি। আবার ঝড়-বৃষ্টিতে হেঁটেছি। অস্ত্র নিয়ে হাঁটিনি। মানুষ আমাকে ফুল দিয়েছে। আমিও গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়েছে। বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি আরও সুদৃঢ় করেছি। আমি জনসভা করতে চাইনি। কিন্তু তৃণমূলকে ভালবেসে লক্ষ লক্ষ মানুষ চলে এসেছে। তৃণমূলকে আশির্বাদ করেছে। আমি মনে করি আগামী পঞ্চাশ বছর তৃণমূলকে কেউ হারাতে পারবে না।’

এদিনের মঞ্চ থেকে ছোট্ট অভিষেকের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘অনেকে বলে অভিষেক কেন এমপি হবে? অনেকেই জানে না, অভিষেক দু’বছর বয়স থেকে রাজনীতি করে। তখন সিপিএমের হাতে মার খেয়েছিলাম। অভিষেক তখন বাড়িতে নিজে নিজে মিছিল করত। আর বলত, মমতার মাথা ফাটল কেন, সিপিএম জবাব দাও।’ এরপর সেইসময়কার একটি ছবি অভিষেককে উপহার দেন মমতা ব্যানার্জি।