সুন্দরবন মেলায় গুণীজনদের সংবর্ধনা।
নিজস্ব সংবাদদাতা, মথুরাপুর: সম্প্রতি মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গণে সম্মানিত হলেনসু ন্দরবন গবেষক সাহিত্যিক নাজিবুল ইসলাম মণ্ডল। তাঁর জীবনে দীর্ঘ ২৭ বছর জুড়ে সুন্দরবনকে নিয়ে বিপুল গবেষণা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য এই সম্মাননা প্রদান করা হল। প্রদান করল ‘মুক্তি’ নামক একটি সামাজিক সংগঠন। উল্লেখ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি, সমগ্র সুন্দরবনের কৃতি সন্তানদের স্ব স্ব কাজের জন্য সম্মানিত করে। এদিন সাহিত্যিক নাজিবুল ইসলাম ছাড়াও বাসন্তির অমল নায়েক, মথুরাপুরের মায়স মায়া মণ্ডল, শশাঙ্ক শেখর নিয়োগী, বিজেন্দ্র বৈদ্য, দেবীশংকর মিদ্যা, সন্দেশখালীর শ্যামল গায়েন প্রমুখ সম্মানিত হয়েছেন। নাজিবুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, আমার সাহিত্য ভাবনার প্রথম প্রদর্শক হলেন আমার দাদু। মাত্র ৯ বছর বয়সে আব্দুর রহিম রচিত ‘গাজি কালু চম্পাবতী কন্যার পুঁথি ‘ আমাকে জোর করে তিনি পড়াতেন। সেখান থেকে আমার পয়ার ও দ্রুপদী ছন্দের সঙ্গে পরিচয় হয়। সাহিত্যের রসদ খুঁজে পাই। তারপর সময়ের কালক্রমকে অতিক্রম করে ১৯৯৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বরে সূচিত হয়ে আজ ‘সমকালের জিয়নকাঠি’ অনেকটা পথ অতিক্রম করে করেছে। অখণ্ড সুন্দরবনকে (দুই বাংলার সুন্দরবন) নিয়ে আমাদের ৮০০০ পৃষ্ঠার বহু মূল্যবান গ্রন্থ সম্ভার গবেষক পাঠকের কাছে আদৃত হয়ে আসছে দুদশক ধরে। মুক্তির কর্ণধার শংকর হালদার বললেন, নাজিবুল ইসলাম এবং সুন্দরবনের নাম একই সঙ্গে উচ্চারিত হতে শোনা যায়। আমরা তাঁকে সম্মানিত করে খুশি।
সুন্দরবনেরই রায়দিঘী’র মুক্তি’ ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এই সুন্দরবন মেলায় সুন্দরবনের ভূমিপুত্রদের নিয়ে সম্মাননা প্রদর্শন রীতিমতো প্রশংসিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন ভৃগুরাম হালদার, অনূপ পারিয়া, পৃষ্ঠপোষকায় ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি ও শংকর হালদার।