চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কি অবসর নিতে চলেছেন?
নিউজ ডেস্ক, নিউজ দিগন্ত বার্তা: ব্রিকস সম্মেলনে অনুপস্থিত কেন শি জিনপিং? ১৩ বছরের শাসনকাল শেষে এবার কি অবসরের পরিকল্পনা করছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং? বেজিং-জুড়ে এখন এই জল্পনাই তুঙ্গে। চিনা সংবাদসংস্থার দাবি, গত ৩০শে জুন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ২৪ জনের সদস্যবিশিষ্ট পলিটব্যুরোর সঙ্গে দেখা করেন চিনা প্রেসিডেন্ট। ওই বৈঠকের পর থেকেই দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি এবার পরবর্তী প্রজন্মের হাতে দেশের শাসনভার তুলে দেবেন শি? সূত্রের খবর, উচ্চ পর্যায়ের এইধরণের বৈঠকে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের দাবি, মাও-র পর জিনপিং-ই সে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী নেতা। ‘কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না’ বা CPC-র সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে কি এবার ব্যাটন নামিয়ে রাখতে চলেছেন জিনপিং, জল্পনায় তোলপাড় বেজিং। বিশেষত, আমেরিকার সঙ্গে বেজিংয়ের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যখন চূড়ান্ত দর কষাকষি চলছে, আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কথায় কথায় বেজিংয়ের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।প্রতিবছর অন্তত ৪৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বেজিং রপ্তানি করে মার্কিন মুলুকে। চিনা অর্থনীতির চাকাই ঘোরে রপ্তানির উপরে। ট্রাম্পের এক সিদ্ধান্তে চিনা অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষত, চিনের তথ্য-প্রযুক্তি ও আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের একটা বড় অংশই অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত। কিছুতেই ট্রাম্পকে বাগে আনতে না পারায় লালপার্টির অন্দরেও জিংপিংয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। জল্পনার সূত্রপাত অবশ্য মাসখানেক আগে থেকেই। মে মাস থেকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না জিনপিং কে। এমনকী রবিবার থেকে শুরু হওয়া রিও ডে জেনেরিও-তে অনুষ্ঠিত BRICS সম্মেলনেও দেখা যায়নি চিনা প্রেসিডেন্টকে। এমনটা এর আগে কখনই ঘটেনি। প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার পর থেকে একবারের জন্যও ব্রিকস সম্মলনে এড়িয়ে যাননি শি। এই প্রথমবার তাঁর বদলে চিনা প্রতিনিধি লি কিয়াং বৈঠকে চিনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২০১২-তে ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে CPC-র জেনারেল সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্ট হন শি। ক্ষমতায় বসেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব ক্ষেত্রের চূড়ান্ত ক্ষমতা নিজের দখলে নেন। কমিউনিস্ট পার্টি, প্রেসিডেন্সি, সেনা–সবের মাথায় বসেন জিনপিং।