২০২৫ গঙ্গাসাগর মেলা সার্থক রূপান্তর নেবে : জেলাশাসক।
নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুর: এবছর রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনিক দপ্তর থেকে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫ কে কেন্দ্র করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো ৩৬ জন আধিকারিক সহ ১২০০০ পুলিশি ব্যবস্থা, এন্টি সাপোর্টিং গ্রুপ, সিভিল ডিফেন্সের পাঁচটি টিম, দুটো নেভির গ্রুপ, বিবেকানন্দ বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তায় নতুন ভাবে যানবাহন চালানো এবং তা রাখার ব্যবস্থা, প্লাস্টিক মুক্ত গঙ্গাসাগর। ৮ই জানুয়ারি থেকে থাকছে প্রশাসনিক তৎপরতা। জঙ্গি হানার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক স্তরে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা, সিসিটিভি তৎপরতা, ফুট সেফটি ক্যান থাকবে ভারত সেবাশ্রম সংঘে, সৃষ্টিশক্তিতে থাকছে ক্যাম্প বন্টন ব্যবস্থা সুবিধার জন্য, সাগর সংক্রান্ত অনুষ্ঠিত হবে ১১ই জানুয়ারি সকাল ছয়টায়, সাগর প্রবচন থাকছে ১১জনুয়ারি আটটায় তিন দিনব্যাপী চলবে এই সাগর প্রভোচন, ব্লিচ ক্লিনিং ড্রাইভ ১৬ তারিখ সকাল ১১ টায়, যে সমস্ত যাত্রীরা হারিয়ে যাবে তাদের জন্য থাকছে পরিচয় ব্র্যান্ড, এবছর যারা তীর্থযাত্রায় আসবেন তারা যাতে পুনরায় আসতে পারে তাদের জন্য থাকছে বন্ধন প্রকল্প।
এনজিও প্রকল্পের ১৪০ এর জায়গায় ১৫০ টি এনজিওকে স্থান দেওয়া হয়েছে সাগর মেলায়।৭৫ জন ফায়ার ফাইটার্স রাখা হয়েছে তীর্থযাত্রীদের বিশেষ সুবিধার জন্য। তীর্থযাত্রীরা গঙ্গাসাগর স্নান করার সময় নির্ধারিত ১৪ই জানুয়ারি সকাল ৬:৫৮ থেকে ১৫ই জানুয়ারি সকাল ৬:৫৮ পর্যন্ত। অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ প্রত্যেক সময় নজরদারি রাখবে আসা যাওয়ার তীর্থযাত্রী এবং যারা এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে। উল্লেখ্য বিষয় এবার মহাসাগর আরতি তিন দিনব্যাপী করা হয়েছে ১১ থেকে ১৩ই জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৬ তারিখ সকাল ১১ টায়। ১৭ তারিখ সাগর মেলার আনুষ্ঠানিক শেষ সমাপ্তি অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১১ টায়।
সোমবার গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫ কে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনিক ভবনে। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সভাধিপতি নিলিমা মিস্ত্রি বিশাল, সুন্দরবন পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও, গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত মালি এবং জেলা প্রশাসনিক দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক।
এবছরও ২০২৫ এর মেলা সার্থক রূপান্তর নেবে বলেই জানালেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। এবছর দর্শনার্থীদের অথবা তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সবকিছুই বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয় এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে। সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রী জানান, গঙ্গাসাগর মেলার খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। কিন্তু মুনাফা পায় উত্তর প্রদেশ। তাও এটি একটি জাতীয় মালা হিসেবে ঘোষণা করার কোন পরিকল্পনা নিচ্ছে না কেন্দ্র। জি বি ডি এ চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত কুমার মালি জানান, সর্বস্তরে এই মেলাকে সফল করতে সবদিক থেকে প্রশাসনিক ভাবে তৈরি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা।