মাছ ধরতে গিয়ে সীমা লঙ্ঘন, ভারতীয় ট্রলারকে আটক করল বাংলাদেশের নৌসেনা।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: বাংলাদেশে জেলবন্দি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ ও নামখানা এলাকার প্রায় ৯৫ জন মৎস্যজীবী। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের প্রথমদিকে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশ জল সীমানায় ঢুকে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের ৬টি ট্রলার। বাংলাদেশের উপকূল রক্ষীবাহিনী এবং নৌবাহিনী আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাদের গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। বর্তমানে বাংলাদেশে জেলে বন্দি রাজ্যের মৎস্যজীবীরা। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বন্দি মৎস্যজীবীদের পরিবার। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ‘বাংলাদেশে জেলবন্দি মৎস্যজীবীদের ফেরানোর জন্য রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা।

কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকার পঞ্চাশটিরও বেশি পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের জেলে বন্দি, কারোর স্বামী বা কারোর ছেলে। প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় এমনিতেই উৎকণ্ঠা বাড়ছিল সকলের। এরমধ্যে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ওপার বাংলায়। প্রতিবাদে ঢেউ এসে পৌঁছেছে এপার বাংলাতেও। এখন বাংলাদেশে জেলবন্দি মৎসজীবীদের শেষ পর্যন্ত কবে ঘরে ফেরাবে সরকার, উদ্বিগ্নভাবে দিন গুনছেন একের পর এক মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যরা।

জেলবন্দি মৎস্যজীবীদের কারো কারো পরিবারে রয়েছে বৃদ্ধ মা বাবা, অসুস্থ স্ত্রী। কেউ কেউ আবার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাদের পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।
বাংলাদেশে বন্দী মৎস্যজীবীদের পরিবাররা বলেন, খবরে দেখছি বাংলাদেশে ভীষণ গন্ডগোল হচ্ছে। সেকারণে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমাদের। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতিতে এদেশের সরকার যদি তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে পারতো তাহলে আমরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হতাম। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান, ‘বাংলাদেশের জেলে বন্দি এখানকার মৎস্যজীবীদের ফেরানোর জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছি। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’