Thursday, June 19, 2025
Ad

অধ্যাপক রৌশন আলীর মৃত্যুকে নিয়ে গভীর রহস্যের সৃষ্টি।

Must read

হত্যা নাকি দুর্ঘটনা? নির্বাক পুলিশ।

জ্যোতির্ময় ভৌমিক, অসম: বঙাইগাঁও জেলার উত্তর সালমারা মহকুমার সদর শহর অভয়াপুরী মহাবিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক রৌশন আলী আহমেদের দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুকে নিয়ে গভীর রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্বনামধন্য অধ্যাপক রৌশন আলী আহমেদের দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুকে নিয়ে গভীর রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অধ্যাপকের মৃত্যু ১ মাস অতিক্রম করার পরও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। অধ্যাপকের মা রূপজান বেগম বলেন, ১মাস অতিক্রম করার পরও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিনি আরো বলেন আমার সন্তানের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলোনা পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর দাবি স্ত্রী মর্জিনা খাতুন, শাশুড়ী মেনাজা খাতুন, শালী মজনুর আহমেদ মিলে হত্যা করেছে ছেলেকে। তাদের বিরুদ্ধে বইটামারী পুলিশ স্টেশনে এজাহার দিয়েছিলেন মা রূপজান বেগম, কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

অধ্যাপক রৌশন আলী

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী মর্জিনা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপক রৌশন আলী আহমেদকে শারীরিক মানসিক যন্ত্রনা করে এসেছে। পারিবারিক কোন্দল চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলো। পরপুরুষের সঙ্গে মর্জিনা খাতুনের সম্পর্ক থাকার গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। উলেখ্য গত ২৩ মে শালী মজনুর আহমেদের স্কুটিতে বসে অভয়াপুরী মহাবিদ্যালয় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন রৌশন আলী। কিন্তু চালকের আসনে থাকা শালীর কোনো আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। গুরুতর আহত অবস্থায় রৌশন আলী আহমেদকে বরপেটা মেডিকেল কলেজ এ নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। মা রূপজান বেগম গুরুতর অভিযোগ কোরেছেন যে স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে এবং মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্র ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন অসামাজিক কলাপে জড়িত ছিলো মর্জিনা খাতুন। বইটামারী থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে ক্রমে মর্জিনা খাতুন মেনজা খাতুন , মানজির আহমেদ এর বিরুদ্ধে এজাহার দিয়েছিলেন মা রূপজান বেগম। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ কোনো বেবস্থা গ্রহণ করা নি। অভিযুক্তরা খোলা আকাশের নিচে ঘোরা ফেরা করছে। অভিযুক্তদের সঙ্গে পুলিশের কোনো বোঝপড়া হয়েছে এবং কার আশীর্বাদ রয়েছে যার প্রেক্ষিতে পুলিশ গোটা বিষয়টা ধামাচাপা দিচ্ছে। উপযুক্ত ন্যায়ের আসায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে অনুরোধ জানিয়েছেন মা রূপজান বেগম।

A deep mystery is created about the death of Professor Roshan Ali.
অধ্যাপক রৌশন আলী

রাহিমা খাতুন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, পাধ্যাপক রৌশন আলীর মৃত্যুর সঙ্গে প্রথক্য ভাবে জড়িত স্ত্রী মর্জিনা খাতুন, শাশুড়ী মেনাজা খাতুন ও শালী মনজুর আহমেদ। তিনি বলেন মৃত্যুর আগে রৌশন আলীর সঙ্গে বার্তালাপ হইয়াছিল। ধারাবাহিক নির্যাতন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়াছিল। মর্জিনা মারধর করতো, পেটপুরে খেতে দিত না। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতো। অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত ছিলো মর্জিনা। কম বয়সী নাবালিকা শিশুদের এনে যৌন অত্যাচার চালাতো। এছাড়াও রৌশন আলীর সন্তান নূর আহমেদ বহুবার আক্রমণ করে। অবশেষে রৌশন আলী নিজ সরকারি আবাস ছেড়ে মায়ের কাছে চলে যায় পঞ্চপুরে। তাররিত্তু স্বাভাবিক নয়। গভীর ষড়যন্ত্র।

Advertisement

মা রূপজান বেগম বলেন, আমার অধ্যাপক সন্তান রৌশন আলীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলোনা। গভীর ষঢ়যন্ত্র করে হত্যা করা হইয়াছিল। ঘর থেকে সালাবাবু মজনু বাইকে করে ২৩মে অভয়াপুরী নিয়ে যায়। এরপর খবর আসে দুর্ঘটনা জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। মর্জিনার অত্যাচার চরম পর্যায়ে অতিক্রম করে। ষড়যন্তের বলি হয়েছে আমার ছেলে। এই খেত্রে অভয়াপুরী থানা এবং বিদ্যাপুর থানা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি।

রৌশন আলীর ভাই জানান, অধ্যাপক রৌশন আলীর মৃত্যু এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। দুর্ঘটনার রূপ দিয়ে হত্যা এবং বাইটামারী থানা, অভয়াপুরী থানার পুলিশ এই বিষয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকায়। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ প্রকৃত তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হোক। যাতে দোষীরা কঠোর শাস্তি পায়

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest article