নিখরচায় ডাক্তার দেখিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যাবে সেবাশ্রয় শিবিরে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, ডায়মন্ড হারবার: প্রথম দিনেই ডায়মন্ড হারবারে রেজিস্ট্রেশন করলেন ৪১টি শিবিরে ২৫ হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার ‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনামূল্যে সমস্ত ধরনের চিকিৎসা চলছে ‘সেবাশ্রয়’ ক্যাম্পগুলি থেকে। জানাগেছে, শুরুতেই ৩৩৪০ জন রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। ২৬০০ জন ব্যক্তিকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ১৮১ জনকে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেবাশ্রয় স্বাস্থ্য শিবির, যা ডায়মণ্ড হারবারের মানুষের জন্য একটি মানবিক উদ্যোগ। এলাকার মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। সেবাশ্রয় হল একটি বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি, যা ‘সেবা’ এবং ‘আশ্রয়’-এর একটি সমন্বিত রূপ। ভারতে এমন বৃহৎ উদ্যোগ প্রথমবার হচ্ছে এবং এই উদ্যোগ দেশের জনগণের সেবাকার্যে একপ্রকার বিপ্লব আনতে চলেছে। কর্মসূচিটি উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক শিরোনামে উঠে এসেছে, ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিশাল সংখ্যা আন্তর্জাতিক রেকর্ড হতে পারে। সেবাশ্রয় ডায়মণ্ড হারবারের ২৩ লক্ষ বাসিন্দাকে আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেবা বিনামূল্যে প্রদান করছে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রকল্পে উপকৃত হয়ে শুক্রবার ডায়মণ্ড হারবারের কামারপোল ওয়ার্ডের একজন উপভোক্তা জানান, তিনি কীভাবে সেবাশ্রয় ক্যাম্পে চিকিৎসা গ্রহণের পর তার শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি আগের থেকে অনেক সুস্থ আছেন, বাড়িতে আছেন। আরেক রোগী সেবাশ্রয় শিবিয়ে গিয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন। পরিষেবা পেয়ে তাঁর ছেলে গভীর কৃতজ্ঞতা জানায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার মা একটি গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সেবাশ্রয়ের প্রথম দিনেই আমরা মাকে একটি শিবিরে নিয়ে আসি, ডাক্তাররা তাকে খুব যত্ন সহকারে চিকিৎসা করলেন এবং ডায়মণ্ড হারবার হাসপাতালে রেফার করেছেন, যেখানে তিনি দুটি ব্যয়বহুল মেডিকেশন বিনামূল্যে পেয়েছেন। এখন তিনি সুস্থ আছেন।

‘সেবাশ্রয়’ শিবির থেকে বিনামূল্যে শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষা নয় সাথে ওষুধও দেওয়া হবে। তার জন্য অ্যাপ ভিত্তিক রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর মিলবে রিয়েল টাইম আপডেট। তার জন্য জরুরি হেল্প ডেস্কও থাকবে। ৭৫ দিন ধরে চলবে ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি। যার জন্য আটশোরও বেশি চিকিৎসক শিবির গুলিতে যোগ দেবেন। প্রতি শিবিরে অন্তত দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন। প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় একটি মডেল ক্যাম্প ছাড়াও থাকবে ৪০ থেকে ৪৫টি ক্যাম্প। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এমন উদ্যোগ গোটা দেশে কোথাও হয়নি। দেশের কাছে ডায়মন্ড হারবার এখন মডেল। এই লোকসভার সাতটি বিধানসভা এলাকায় ধাপে ধাপে ৭৫ দিনে ৩০০ ক্যাম্প হবে।’