বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: রবিবার সারা দেশের সাথে হুগলীর শ্রীরামপুরের মাহেশেও পালিত হল রথযাত্রা উৎসব। সকাল থেকে চলছে মন্দির প্রাঙ্গনে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলভদ্রর পূজো পাঠ। এই বছর মাহেশের রথ ৬২৮ তম বর্ষে পড়লো। এদিন সকাল থেকেই ভক্তের ঢল নেমেছে মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গনে এসে উপস্থিত হয়েছে তাদের আরাধ্য দেবতার পূজো দিয়ে মনোস্কামনা পূরনের আশায় এবং সেই সাথে ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রার সাক্ষী হতে। পুরির রথযাত্রা পরই ভরতবর্ষের দ্বিতীয় বিখ্যাত রথ যাত্রা উৎসব শ্রীরামপুরের মাহেশে। ১৩৯৬ সালে মাহেশে রথের প্রচলন হয়। স্নান যাত্রার পর জগন্নাথ দেবের জ্বর হয়। এবং চৌদ্দ দিন জগন্নাথ দেবের সুস্থতার জন্য মন্দিরের দরজা অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়। এই সময় ভক্তরা দেবতা দর্শন থেকে বঞ্চিত থাকেন। এরপর শনিবার মন্দিরের দরজা উন্মুক্ত করা হয়।
এদিন পালিত হয়েছে জগন্নাথ দেবের নবযৌবন উৎসব। পূর্বে মাহেশের রথ কাঠের তৈরী ছিল। বর্তমানের রথটি লোহার। এটি ১৩৬ বছর আগের। ১২৫ টন ওজনের এই লোহার রথটির উচ্চতা ৫০ ফুট। রথযাত্রা উৎসব প্রশঙ্গে জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান সেবাইত পুত্র তথা মন্দিরের সম্পাদক পিয়াল কৃষ্ণ অধিকারী বলেন, প্রতিবছর যা ভক্ত সমাগম হয় তার থেকে অনেক বেশী ভক্তের ভীর হবে এই বছর। কোন রকম অপ্রতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য প্রশাসন সব রকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে। রয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থাও। ভক্তদের সাথে বিশিষ্ট ব্যাক্তিরাও এদিন জগন্নাথ মন্দিরে উপস্থিত হন। দুপুরে ভোগ নিবেদনের পর দেবতা ত্রয় রথে ওঠেন মাসির বাড়ি যাওয়ার উদ্যেশ্যে। আজ থেকে সাতদিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা মাসির বাড়িতেই থাকবে। মাসির বাড়ি থেকে মূল মন্দিরে ফিরে আসবে সাতদিন পর।