বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: রানী রাসমণী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দক্ষিনেশ্বরে মা ভবতারিনীর মন্দির। সে কথা তো সকলেরই জানা। কিন্তু জানেন কি হুগলীতেও মা কালী পূজিত হন মা ভবতারিণী রূপে। হুগলীর বৈদ্যবাটি পৌরসভার অন্তর্গত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জ্ঞ্যাতির বাগান রাম মোহন পল্লী বাই লেনে ব্যানার্জী বাড়িতে মা ভবতারিনী রূপে নিত্য পূজিত হন। এই বাড়ির মালিক ভোলানাথ ব্যানার্জী। তিনি জানালেন, বেশ কয়েক বছর আগে ভোলানাথ ব্যানার্জীর সহ ধর্মিনীকে মা কালী স্বপ্নাদেশ করেন। একবার নয়, পর পর তিন বার স্বপাদেশ পাওয়ার পর ব্যানার্জী দম্পতি সিদ্ধান্ত নেন মাকে প্রতিষ্ঠা করার। নিজেদের বাড়িতেই দক্ষিনাকালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন ভবতারিনী রূপে। ভোলানাথবাবু নিজেই পূজো করেন। নিত্য পূজো ছাড়াও বিশেষ তিথি ও প্রতি অমাবশ্যা এবং কালী পূজোর দিনেও মহা ধুমধাম করে মায়ের পূজো হয়। বিশেষ এই দিন গুলোতে বহু ভক্তেরও সমাগম হয়। মঙ্গল আরতি দিয়ে পূজো শুরু হয়, সারাদিন ব্যাপি চলে পূজোর আয়োজন। পূজো শেষে ভোগ নিবেদন হয়।
পূজোর বিশেষত্ব হল, মায়ের পূজো তন্ত্রমতে হয় না। বৈষ্ণব মতে হয়। তাই বলি প্রথা বা কারণ নিবেদন নিষিদ্ধ। এমনকি পূজারী দম্পতি আমিষ খাদ্য গ্রহন করেন না। এই ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি স্বপন ঘোষ বলেন, মা খুব জাগ্রত। ভক্তরা বিশ্বাস ভরে মন্দিরে এসে পূজো দেন। মায়ের মন্দিরে যেতে হলে বৈদ্যবাটি স্টেশনে নেমে হাটা পথে পাঁচ মিনিট।