“বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা, কারা যে ডাকিল পিছে, বসন্ত এসে গেছে”
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: বাঙ্গালীর বারো মাসে তেরো পার্বন। তার মধ্যে একটা হল দোল পূর্ণিমা। এই উৎসব বাঙ্গালী তথা ভারতের সবত্রই মহাসমারোহে পালন করা হয়।
এই দোল উৎসব মূলত রাধা কৃষ্ণকে ঘিরেই পালন করা হয়। আবার যেহেতু বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে দোল উৎসব প্রচলন করে ছিলেন, তাই রবীন্দ্রনাথ এবং শান্তিনিকেতনের নাম দোল উৎসবের সাথে জড়িত রয়েছে। সোমবার দোল পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে এই দুইয়ের মিলন দেখা গেলো হুগলীর বৈদ্যবাটি পৌরসভার বাইশ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি শতরূপা চক্রবর্তীর উদ্যোগে ওয়ার্ড সংলগ্ন মাঠ প্রাঙ্গনে দোল উৎসব পালিত হয়। মাঠের ভিতরে রয়েছে বড় বড় গাছ। সেই গাছের নীচে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন রূপের রাধা কৃষ্ণের যূগল মূর্তি। যা দেখে বৃন্দাবন বা মায়াপুরের কথা মনে আসবে। অপর দিকে রয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি।
সবই ফুলের সাজে ও আবীরের রঙে সুন্দর করে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। যা দেখে এক টুকরো শান্তিনিকেতন এর সাথে রবীন্দ্রনাথের সেই বিখ্যাত গানের লাইন মনে করিয়ে দেয় – “রঙ যেনো মোর মর্মে লাগে”।
এদিনের উৎসবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুইন, বৈদ্যবাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান পিন্টু মাহাতো সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিগন, অন্যান্য পৌরপ্রতিনিধি, এবং এলাকার প্রায় সকল নাগরিকবৃন্দ। এই প্রশঙ্গে শতরূপা চক্রবর্তী বলেন,
দোল উৎসব মানেই রঙ খেলা। এই দিনটায় সকল ভেদাভেদ ভুলে প্রত্যেকের সাথে নিবিড় ভাবে রঙ খেলায় মেতে ওঠা। দোল পূর্ণিমা মানেই একদিকে রাধাকৃষ্ণ অপর দিকে রবীন্দ্রনাথ। তাই এই উৎসবে সকলকে আহ্বান করা হয়েছে উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য। রঙ খেলার পর দুপুরে সকলের জন্য ভুড়ি ভোজেরও আয়োজন রয়েছে।