বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: ২৩শে জানুয়ারি থেকে শুরু হল “চুঁচুড়া বিধানসভা উৎসব ২৫”। চুঁচুড়া ময়দানে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকালে চুঁচুড়া বিধানসভার বিধায়ক অসিত মজুমদারের নেতৃত্বে চুঁচুড়া বক্সিং গ্রাউন্ড থেকে বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। বিকালে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় দ্বীপ প্রজ্জ্বোলনের মধ্য দিয়ে। মূল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক তথা উৎসবের রুপকার অসিত মজুমদার, মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান ব্যানার্জী, চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন, ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র, হুগলীর সাংসদ রচনা ব্যানার্জী, চন্দননগরের মহানাগরিক রাম চক্রবর্তী সহ জেলার অন্যান্য নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্না সেনগুপ্ত, কেশব সহ বিনোদন ও সঙ্গীত জগতের একঝাঁক তারকা।
উৎসব চলবে ৩১ তারিখ পর্যন্ত। উৎসবের প্রত্যেক সন্ধ্যায় রাঘব চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী মজুমদার, মিস জোজো সহ একাধিক পেশাদার শিল্পীরা থাকছে দর্শকদের বিনোদনের জন্য। থাকছে স্থানীয় প্রতিভাবান শিল্পীরাও। নতুন প্রজন্মের কাছে চুঁচুড়ার ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য তথ্যচিত্রেরও আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব প্রাঙ্গনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, প্রসাধন সামগ্রী, হস্ত শিল্প, বিভিন্ন ধরনের পোশাক, রকমারি খাবার সহ ২০০ টি স্টল দেওয়া হয়েছে। এই প্রশঙ্গে রচনা ব্যানার্জী বলেন, শীতকাল মানে আনন্দের মরসুম। আনন্দ করতে সবাই ভালোবাসে। আর চুঁচুড়ার এই উৎসব প্রথম বছর, কিন্তু প্রচুর মানুষ এসেছেন। উৎসবের প্রঙ্গন থেকেই মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন রচনা ব্যানার্জী। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, শহরের কংক্রিটের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটু অন্যরকম পরিবেশ। উৎসব মানেই মেলবন্ধন। চুঁচুড়া বিধানসভা উৎসবে এসে একটু অন্য রকম সময় কাটানো। একের সাথে অপরের মিলিত হওয়া। আর এটা সম্ভব মেলা বা উৎসবের প্রাঙ্গনে। আগামী দিনে চুঁচুড়ার এই উৎসব আরও উন্নত হবে ও জনপ্রিয়তা পাবে বলেও জানিয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।