বন্দনা ভট্টাচার্য, হুগলি: প্রতি বছরের মত হুগলির কোন্নগরে জগদগুরু শংকরাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী প্রতিষ্ঠিত রাজরাজেশ্বরী সেবা মঠে সম্পন্ন হল চৈত্র নব রাত্রি উৎসব। ন’দিনব্যাপী, মহাসমারোহে এই উৎসব পালিত হয়। ন’দিনব্যাপী এই উৎসবের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন হল অষ্টমী। শনিবার ছিল অষ্টম তিথি।এদিন রাজরাজেশ্বরীর ত্রিপুরা সুন্দরীর পুজোর পর কুমারী পূজো হয়। কুমারী পুজোতে নয় জন কুমারীকে মাতৃজ্ঞানে সরসোপাচারে পুজো করা হয়। এবং এর সাথে এক কুমারকে বটুক ভৈরব অর্থাৎ শিব রূপে পূজো করা হয়। পুজোর শেষে মাতৃজ্ঞানে পুূজিত নয় কুমারী এবং বটুক ভৈরব রূপে পূজিত এক কুমার মন্দির প্রদক্ষিণ করে। এরপরে এই দশম দেবতাকে একত্রে বসিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। পুজোয় পৌরহিত্ত করেন মঠের সন্ন্যাসী স্বরূপ মহারাজ এবং সঞ্জু মহারাজ। হুগলি জেলার সবচেয়ে বড় ও জাগ্রত মন্দির এই রাজরাজেশ্বরী মন্দির । এই ন দিনে বহুদূরান্ত থেকে ভক্তরা মন্দিরে এসে উপস্থিত হন, জগত জননী মাকে পুজো দিয়ে নিজেদের মনস্কামনা পূরণের আশায়। পুজো শেষে চৈত্র নবরাত্রি তিথিতে প্রতিদিন প্রসাদ বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে।তুমি তিথিতে ভক্তদের সংখ্যা কয়েক হাজার। প্রত্যেক ভক্ত বসে প্রসাদ গ্রহণ করেন। সচ্চি স্বরূপ মহারাজ বলেন, অষ্টমীর দিন রাজরাজেশ্বরী মাকে মহা গৌরী রূপে পুজো করা হয়। আর এই দুর্গাপুজোয় কুমারী পুজোর প্রচলন ও মাহাত্ম্য আছে। কুমারীকে কখনও কন্যা রূপে ,কখনও স্ত্রী রুপে, কখনো মাতৃরূপে দেখা যায়। নারীদের মধ্যে যে শক্তি আছে, এগুলো তারই রূপ। দেশ জুড়ে যেভাবে নারী নির্যাতন হচ্ছে, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সকলের সৎ বুদ্ধি, দেশের কল্যাণ, এবং সকল নারীর সম্মান রক্ষার জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছেন বলেও জানিয়েছেন সচ্চি স্বরূপ মহারাজ। রবিবার নবরাত্রির শেষ উৎসবের দিনে। এদিন সকাল থেকে শুরু হয়েছিল পুজোর আয়োজন। ফল মিষ্টান্ন উপযোগে সারাদিনব্যাপী চলে পুজো পাঠ। এবং সন্ধ্যা আরতির মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয় এবছরের চৈত্র নবরাত্রি উৎসব।
রাজরাজেশ্বরী সেবা মঠে সম্পন্ন হল চৈত্র নব রাত্রি উৎসব।

- Advertisement -