নিজস্ব প্রতিনিধি, কুলপি: রবিবার সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কুলপি জনপ্রিয় হাই স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হলো তৃণমূলের পঞ্চায়েতি সভা। এদিন চলো গ্রামে যাই কর্মসূচীর সূচণা করলেন রাজ্য সভানেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন দুপুরে সভা শেষে কুলপি অঞ্চলের গৌরীপুর গ্রামে গিয়ে এই কর্মসূচীর সূচনা করা হয়। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের সাথে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে মহিলা কর্মীদের এগিয়ে আসার পরামর্শ দেয় মন্ত্রী। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে হবে এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পে কতটা উপকৃত হয়েছে তা শোনাতে হবে। বিশেষকরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য গ্রামীণ মহিলাদের আত্মমর্যাদা বেড়েছে বলে জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই সরকার মহিলাদের জন্য নানান কর্মসূচী নিয়েছে। অতীতে কোন সরকার মহিলাদের জন্য আলাদা করে ভাবেনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব মেয়েদের কথা ভেবেছেন। কিন্তু রাজ্যের বিরোধীদের এটা সহ্য হয়না। বাংলার নারী শক্তি একদিন সারা দেশকে পথ দেখাবে।
এদিনের এই পঞ্চায়েতি সভাতে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারি, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারি নস্কর জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মহিলা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এই পঞ্চায়েতি সভার আয়োজন। সেইসাথে আজ “চলো গ্রামে যাই” কর্মসূচির সূচনা করা হয়। পরবর্তীতে আমাদের মহিলা কর্মীরা তা বাস্তবায়িত করবে।