বিশ্বজিৎ দে, ত্রিপুরা : ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে বিজেপি শাসন কালে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে মাফিয়া। একদিকে শাসকদলীয় বাইক বাহিনী, অপরদিকে ছাপ্পা বাহিনী। আসা যাক মূল প্রসঙ্গে, উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর ত্রিপুরা বাসীর কাছে বাণিজ্য নগরী নামে পরিচিত। কিন্তু এই বাণিজ্য নগরী কে নেশানগরি তে পরিণত করে রেখেছে কিছু শাসক দলিয় নেশা কারবারিরা। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা,আর এই দুর্গাপূজা কে ঢাল বানিয়ে ধর্মনগরের হরিমন্দির রোডে কাপড় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছে। কিন্তু কতিপয় কাপড় ব্যবসায়ী উনার কাপড় ব্যবসার আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা মাদক ব্যবসা। সূত্রের খবর, ধরমনগর এর কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা লোকদেখানো পেশায় কাপড়় ব্যবসায়ী। মাধব পাল জদিও এই কাপর ব্যেবসা শুধু মাত্র লোক দেখানো। এইসুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মাধব পাল ধর্মনগরের নবনিযুক্ত চেয়ারপারসন প্রদ্যুত দে সরকারের আশীর্বাদে ওর মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ভাবে। অপরদিকে বিগত কয়েক মাস আগে ধর্মনগর পুরো পরিষদ নির্বাচনের সময়ে ধর্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তথা শাসকদলীয় নেশাকারবারি মাধব পাল ধর্মনগর পুরভোটে ছাপ্পা ভোট প্রদান করে প্রদ্যুত দে সরকারকে।
হয়তোবা এই কারণেই ছাপ্পা মাধব বা শাসকদলীয় নেশা কারবারি কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জানা যায় সেই নেশা কারবারি মাধব পালের বিরুদ্ধে ধর্মনগর বাজার ব্যবসায়ী কমিটি একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছিল উত্তর জেলা পুলিশ সুপারকে। কিন্তু অভিযোগের পরও টনক নড়েনি রাজ্যের পুলিশ বাবুদের।নরবেইবা কি করে?কারন এই নেশা কারবারি মাধব পাল এর মাথার উপর রয়েছে ধরমনগর পুরপরিসদ এর ছাপ্পাভোটে বিজয়ী চ্যেয়ার পারসন প্রদ্যুত দে সরকার এর আশিরবাদ।
তাই হয়তোবা ত্রিপুরা রাজ্যের রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশ বাবুরা এই নেশাকারী বা ছাপ্পা ভোটের নামে পরিচিত মাধবকে গ্রেফতার করতে হিমশিম খাচ্ছে। নাকি অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করা পুলিশ বাবুরা শাসকদলীয় নেতার নিশেদ্দগ্যায় গ্রেফতার করছে না অই মাধব পাল কে? না অন্য কিছু গোপন বোঝা পরা রয়েছে এই ছাপ্পা ভোটার তথা নেশা কারবারি মাধব পালের সঙ্গে? এটাই এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন হয়ে উঁকি দিচ্ছে ধর্মনগর শহরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের মনে।