রেল পুলিশকে মারধরের অভিযোগে।
বন্দনা ভট্টাচার্য, হুগলি: ট্রেনের টিকিট কাটা কে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। এরপরেই টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর চালালো একদল মত্ত যুবক। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম অশান্তি ছড়ালো হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশনে। এই ঘটনার পরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রেল কর্মীদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনে ট্রেনের গন্ডগোল ছিল। সকালে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে গিয়ে বিপত্তির শুরু। বিঘ্নিত হয় ট্রেন চলাচল, চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী সহ সাধারণ মানুষ। বাতিল হয় একাধিক ট্রেন। এরপর ট্রেন চলাচল শুরু হলেও রাত পর্যন্ত এই সমস্যা থেকেই যায়।এদিন সকাল থেকেই টিকিট কাউন্টার গুলোতে ছিল যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। তার ওপর টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে ভাঙচুর করা হয় রেলের টিকিট কাউন্টার। স্টেশন চত্বরে দেখা যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে অজস্র ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো এবং তার সাথে রক্তের দাগ। রেলের তরফে জানা যায়, ব্যান্ডেল স্টেশনে এক নম্বর টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের টিকিট কাটার লম্বা লাইন ছিল। সেই সময়ে একদল মদ্যপ যুবক লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের টপকে আগে টিকিট নেওয়ার জন্য এগিয়ে যায়। তখনই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের সাথে ওই যুবকদের বচসার সূত্রপাত। এরপরই মদ্য যুবকরা রেল কাউন্টারে থাকা রেল কর্মীদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। সেই সময় একজন রেল পুলিশ পুরো ঘটনা মোবাইল বন্দী করছিলেন। সেইসময় হঠাৎই মদ্য যুবকরা ওই রেল পুলিশের উপরে চড়াও হয় এবং তাকে মারধর শুরু করে। এবং মোবাইলটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনার সময় পাশের কাউন্টারে থাকা ঋত্বিক সরকার নামে এক রেল কর্মী জানালেন, সকাল থেকেই ট্রেনের গন্ডগোল ছিল। টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন ছিল। টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে রোল চেঞ্জ করা হচ্ছিল। এই সময়ে কয়েকজন মদ্যপ যুবক লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের সরিয়ে দিয়ে আগে টিকিট নিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। যাত্রীরা বাধা দিলে তখনই বচচা শুরু হয়, সেই সময়ে ওই যুবকরা কাউন্টারের কাজ ভেঙে দেয়, এবং টিকিট কাউন্টারের ভেতরে ঢুকতে উদ্ধত হয়। এই সময় রেল পুলিশ বাধা দিলে তার জামা ছিড়ে দেওয়া হয় এবং তাকে মারধরও করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।