Wednesday, June 18, 2025
Ad

সরকারি হাসপাতালের CCU-র মধ্যে শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার অস্থায়ী কর্মী।

Must read

হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ারে কিশোরীর শ্লীলতাহানি।

বাইজিদ মন্ডল, ডায়মন্ড হারবার: ডায়মন্ড হারবার সরকারি হাসপাতালের (CCU) ক্রিটিকাল কেয়ার এর মধ্যে এক কিশোরীর শ্লীলতাহানি। সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লকের নেতরা গ্রামের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে শনিবার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ফিমেল ওয়ার্ডের সি সি ইউ (ক্রিটিকাল কেয়ারে) রেখে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাস তালুকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই রাতেই (CCU) ক্রিটিকাল কেয়ার এ প্রথমবার শ্লীলতাহানির শিকার হয় কিশোরী। এই ঘটনায় সরকারি হাসপাতালে নারী রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী শনিবার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। অভিযোগ, ওই রাতেই প্রথমবার শ্লীলতাহানির শিকার হয় কিশোরী, তার শ্লীলতাহানি করে বিনোদ পণ্ডিত নামে এক হাসপাতালের চুক্তি ভিত্তিক সাফাই কর্মী। অভিযোগ, এর পরও রবিবার দফায় দফায় একাধিক বার হাসপাতালের সি সি ইউর মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয় সেই নাবালিকা। পরে অবশেষে তার মা কে গোটা ঘটনা খুলে বলে কিশোরী। এর পর কিশোরীর মা কার্যত জোর করে মেয়েকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে যান। তার পর ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে এবং মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার থানায় ওই সাফাই কর্মীর বিরুদ্ধে মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন তিনি। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে বিহত পন্ডিত নামে এক হাসপাতালের চুক্তি ভিত্তিক সাফাই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, সরকারি হাসপাতালের CCU র ভিতরেও কি নিরাপদ নয় নাবালিকারা? আরজি কর কাণ্ডের পর সরকারি হাসপাতালে নারী সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তার পরও একাধিক নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনায় নিম্ন আদালতে ঝড়ের বেগে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে ফাঁসির সাজা আদায় করে এনেছে রাজ্য। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তার পরও অপরাধীদের মনে ভয় ধরছে না কেন? তারা কি মনে করছে, এর পরেও কি পার পাওয়া সম্ভব? এখন দেখার এই অভিযুক্তকে কি সাজা কার্যকর করা হয়। নির্যাতিতা পরিবারের পক্ষ থেকে জানান, আমার মেয়ের সঙ্গে এমন ঘৃণ্যতম কাজ করেছে ক্ষমার যোগ্য নয়। দ্বিতীয় কোনো মেয়ের সঙ্গে এমন ঘৃণ্যতম কাজ করতে না পারে। সেই জন্য অভিযুক্তকে ওঠিন থেকে আরো কঠিন তম শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি এদিন সকাল থেকে সারাদিন ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রুগীর পরিবারের পক্ষ থেকে রুগীদের নিরা পত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়।

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest article