গুরুতর আহত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, ভর্তি হাসপাতালে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বজবজ: মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরেই যে এরকম ভয়াবহ কাণ্ড হয়ে যাবে তা ভাবতে পারছেন না কেউ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বাটানগর শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল পরীক্ষার্থীকে। ভয়ের আবহ অভিভাবকদের মধ্যে।
সূত্রের খবর, বুধবার পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্রীর মাথায় আচমকা ভেঙে পড়ে পাখা। সবে তখন মাত্র ১৫ মিনিট পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাতেই ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়ে যায় স্কুলে। গুরুতর আহত হয় নন্দিনী মাকাল নামে এক পরীক্ষার্থী। বাটানগরের বাংলা জাতীয় শিক্ষা মন্দির এর ছাত্রী। সিট পড়েছিল মহেশতলা পৌরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাটানগর শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে।
এদিন সময়ে পরীক্ষা দিতে চলে আসে সে। সময়ে পরীক্ষাও শুরু হয়। একমনে পরীক্ষা দিতে দিতেই যে এই কাণ্ড ঘটে যাবে তা ভাবতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। স্কুলের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অভিভাবকেরা। “শিক্ষা দপ্তর তথা সরকারি উদাসীনতায় এ ধরনের ঘটনা আগামী দিনেও ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। যে আর্থিক সহায়তা শিক্ষা দপ্তর থেকে বিগত দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পেত তার থেকে তা বঞ্চিত হচ্ছে। ফলত, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ঘটছে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।উল্লেখ্য, এর আগে মালদা জেলায় দেয়াল চাপা পড়ে একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। শিক্ষা দপ্তর তথা রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের একান্ত আবেদন আর্থিক সহায়তা দিয়ে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচান।। অন্যথায় এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এড়ানো যাবে না। এমনই দাবি করেন, অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস (ASFHM) র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি।