জ্ঞানের দীপ্ত আলো জ্বালাতে স্বরবর্ণের বিশেষ উদ্যোগ।
বাইজিদ মন্ডল ডায়মন্ড হারবার: শিক্ষা থাকুক প্রতিটি ঘরে, শিক্ষাদানে নারীরাই পারে। সদিচ্ছা আর সততাই যে আসল মূলধন, আর্থিক সহায়তা ছাড়াই টিফিন এবং পকেট মানির অর্থই সঞ্চয় যাদের মূল সম্বল। আজ সেই নারীরাই সামাজিক কল্যাণে শিশুশিক্ষার প্রকৃত বার্তা বাহক। আর এই নারীশক্তির সমাজকল্যাণকর মানসিকতার সাথে যিনি নিজেকে আষ্টেপৃষ্ঠে আবদ্ধ করে ফেলেছেন, তিনি আর কেউ নন, ডায়মণ্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে। শিক্ষা থাকুক প্রতিটি ঘরে, জ্ঞানের দীপ্ত আলো জ্বালাতে ডায়মন্ড হারবারে স্বরবর্ণের ব্যবস্থাপনায় পকেটমানির অর্থ বাঁচিয়ে নিজ খরচে শিশু শিক্ষায় পাঠ্যসামগ্রী বিতরণ করল বেশ কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা। শিশুদের হাতে স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স পেন, পেন্সিল সহ পেন্সিল বক্স, ডায়মন্ড হারবার মুক্তাঙ্গনে প্রায় ৫০ জন ছোট ছোট শিশুর হাতে ওই সামগ্রী তুলে দেন নারী শক্তির নারীরা।পাশাপাশি ক্ষুদে কচিকাঁচা পড়ুয়াদের হাতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু উপহার তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে। কেউ বা স্কুল কেউ বা কলেজ – আবার কেউবা বাড়ির গৃহবধূ। এই মহিলারাই আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন। এই ক্ষুদ্র প্রয়াসে মহিলাদের সাথে এই কর্মকান্ডে সামিল হলেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অ্যাডিশনাল এসপি মিতুন কুমার দে।
এদিন ডায়মন্ড হারবার মুক্তাঙ্গনে স্বরবর্ণের আমন্ত্রণে পুষ্পবৃষ্টির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেন তিনি। ছোট ছোট শিশুদের হাতে চকলেট, পেন সহ কিছু উপহার তুলে দেন ছোট ছোট শিশুদের প্রিয় পুলিশ আঙ্কেল। রাফ অ্যাণ্ড টাফ – পেশাদার ইমেজের বাইরে বেরিয়ে এদিন শিশুদের শৈশবকালীন সারল্যের মধ্যে নিজেকে বন্দী করে রাখেন ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে। স্বামীজি বলেছিলেন “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর” অর্থাৎ জীব সেবাই শিব সেবা – জীবসেবা করলেই প্রকারান্তরে স্রষ্টার সেবা করা হয়। পৃথকীকরণ বিষয় এটাই যে, এই নারীশক্তি সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিক মুঠোফোনে বন্দি সো-কলড প্রচারকেন্দ্রিকতায় নয়, বরং মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় খোলা আকাশের নিচেই মুক্ত অঙ্গনে অর্থাৎ মুক্তাঙ্গনে সমাজের সর্বত্র সকল শিশুর ভবিষ্যৎ কল্যাণে, সুশিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্বাসী।