ট্রাক্টর চালানো নিয়ে ঝামেলা, দুপক্ষই দারস্থ প্রশাসনে।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কুলপি: ট্যাংরারচর থেকে দামোদরপুর বরাবর গ্রামীণ সড়কে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর করে চলছিল মাটি বোয়ার কাজ। এলাকার মানুষের আপত্তিতে শুরু হয় দুপক্ষের গন্ডগোল। ঘটনাটি কুলপি থানার করঞ্জলী গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকায়। দিনের বেলায় মাটির গাড়ি না চালিয়ে রাতে গাড়ি চালানোর দাবি করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর চড়াও হয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে মাটি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাসিন্দারা তাদের কাছে লক্ষাদিক টাকা দাবি করে। না দিতে পারায় মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামবাসীদের তরফে রতন হালদার, শ্যামাপদ হালদার ও প্রশান্ত সরদার বলেন ওরা প্রায় দশটি ট্রাক্টর নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে মাটি বইছে। বিশেষ করে স্কুল টাইমে বাচ্চাদের সাইকেল নিয়ে যাওয়া আসার ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটছে। একসঙ্গে এতগুলো গাড়ি যাওয়া আসার ফলে প্রচন্ড ধুলোর সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে করে সাধারণ মানুষেরও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সে কারণেই ওদের কাছে আবেদন করেছিলাম রাতে গাড়ি চালানোর জন্য। এই বলাতে ওরা জোরপূর্বক গাড়ি চালানোর কথা বলে। এলাকায় অসামাজিক বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করে, হুমকি দেয়। আমরা আতঙ্কিত। আমরা বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর করে কুলপি থানা এবং বিধায়কের কাছে বিষয়টি জানাই। নিশ্চয়ই প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করবেন বলে আশাবাদী তারা।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বাসিন্দাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, আমাদের কাজের সুবিধার্থে ট্যাংরারচর থেকে দামোদরপুরে গাড়ি চলাচল করছিল, কোথাও কারো সমস্যা হয়নি। মাঝখানে কৃষ্ণচন্দ্রপুর এর ক্লাবের ছেলেরা আমাদের গাড়িগুলো আটকায়। খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। ওরা দিনের পরিবর্তে রাতে গাড়ি চালানোর প্রস্তাব দেয়, আমরা রাজি হই। ওই মুহূর্তে মাটি ভর্তি গাড়ি গুলো ছাড়ে। পরে রাতে আমরাদের ডেকে লক্ষাদিক টাকা দাবি করে আমাদের কাছে। আমরা কয়েকজন বেকার ছেলে মিলে এই কাজটি করছি, সামান্য প্রফিট মিলবে। ওদেরকে অযথা এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। টাকা না পেয়ে পরিকল্পনা করে আমাদেরকে হেনস্তা করে এবং অপবাদ দেয়। আমরা যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজটি করতে পারি তার জন্য প্রশাসনের কাছে দ্বারস্ত হয়েছি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। তবে ঘটনার পরে বন্ধ ছিল কাজ, সূত্র মারফত জানা গেছে পরবর্তীতে রাতে করেই চলাচল হচ্ছে গাড়ি।