শাহী স্নান ঘিরে গঙ্গাসাগরে আঁটোসাটো নিরাপত্তা।
নিজস্ব প্রতিনিধি, সাগর: মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে দক্ষিন ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে পূণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, জেলার একধিক জায়গা সহ ভিম রাজ্য থেকে ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাগর পাড়ে এসে পৌছিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.৫৫ মিনিটে পূর্ণিমা যোগ শুরু হয়েছে। এই যোগ চলবে বুধবার সন্ধ্যা ৭.৬ মিনিট পর্যন্ত। বুধবার ভোর রাত থেকেই মাঘী পূর্ণিমার পূন্যলগ্নে স্নান করতে নেমে পড়েছেন হাজার হাজার পূর্ণ্যার্থী। স্নান সেরে কপিলমুনির আশ্রমের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে স্বজনদের মঙ্গল কামনায় পূজো দেন ভক্তরা।মঙ্গলবার রাত থেকে ঠান্ডা নেই বললেই চলে। ঝকঝকে জ্যোৎস্না। সাথে মৃদুমন্দ দক্ষিনা বাতাসের ছোঁয়া সাগর পাড়ের পরিবেশকে আরও মনোরম করে তুলেছিল।শীতের প্রকোপ কম বলেই পূণ্যার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, এমনকি অতীতের রেকর্ড ভেঙ্গে যাবে বলে অনুমান ছিল প্রশাসনের। তীর্থ যাত্রীদের সকল প্রকার সুরক্ষা ও সুবিদার্থে সাগর ব্লক প্রশাসন ও সুন্দরবন পুলিশ সবরকম ব্যবস্থা করেছিল। এবারে মাঘী পূর্ণিমায় সাগরতটে লক্ষাধিক ভক্ত ও পূণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। তাদের যাতে কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়, তার জন্য বায়ো টয়লেট, জল, আলো, বার্জ, ভেসেল পরিসেবা বাড়ানো হয়েছে। মাঘী পূর্ণিমায় শাহী স্নান ঘিরে গঙ্গাসাগরে মোরা ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী, সিভিল ডিফেন্স, কয়েকশো সিসি ক্যামেরায়য়। ভিড় সামাল দিতে তৎপর পুলিশ। আঁটোসাটো নিরাপত্তা।
কাকদ্বীপের লট নম্বর আটে সাগরমুখী পূণ্যার্থীর দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। পাশাপাশি সাগরের কচু বেড়িয়া ঘাটেও একই দৃশ্য নজরে এসেছে। কাকদ্বীপ রেল স্টেশনে তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে তিল ধারনের জায়গা ছিলনা বললে চলে। রাত ভোর ভক্ত ও তীর্থযাত্রীরা সাগর তীরে এসে পৌঁছেছেন পূণ্যলাভের আশায়। গঙ্গাসাগরে যাতায়াতের সুবিধার জন্য মুড়ি গঙ্গা নদীতে অতিরিক্ত বার্জ ও ভেসেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে অতিরিক্ত বাস পরিসেবা। বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই দুদিন সাগরতীরে চলবে পূণ্যস্নান। সমুদ্রতট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে রাখা হয়েছে সাগর প্রহরী।