ক্লাসঘর হল ছাঁদনাতলা।
নিউজ ডেস্ক, নিউজ দিগন্ত বার্তা: ক্লাসে অধ্যাপিকাকে দেখা গেল কনের বেশে। বর প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। অধ্যাপিকা ও ছাত্রের মালাবদলের দৃশ্য মোবাইলে বন্দি করলেন পড়ুয়ারা। ছড়িয়ে পড়ল সিঁদুরদানের ছবিও। সেই নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজ়াদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (ম্যাকাউট) ক্যাম্পাসে। বিয়েটা সত্যি না কি অভিনয়? তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। তার মধ্যেই অধ্যাপিকাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।স্থানীয় সূত্রের খবর, যে ছবি এবং ভিডিয়ো নিয়ে শোরগোল, সেটি ম্যাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের ‘অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি’ (ফলিত মনস্তত্ত্ববিদ্যা) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। মঙ্গলবার বিভাগীয় প্রধানের পরনে ছিল লাল বেনারসি। গলায় গোলাপ-রজনীগন্ধার মালা। প্রথম বর্ষের এক ছাত্র ক্লাসঘরে ‘ম্যাডাম’-এর সিঁথি রাঙিয়ে দেন সিঁদুরে। ওই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রছাত্রী। তাঁদের মধ্যে কেউ ছবি তুলেছেন, কেউ ভিডিয়ো করেছেন। সেগুলো কিছু ক্ষণের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্কের।
ক্লাসরুমে অধ্যাপিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরানোর ভিডিয়ো ভাইরাল করার নেপথ্যে এক অধ্যাপক সহকর্মী রয়েছেন।
তিনিই চক্রান্ত করে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করলেন নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজ়াদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (ম্যাকাউট)-র মনস্তত্ত্ববিদ্যার সেই অধ্যাপিকা।
গোটা ঘটনায় যে ভাবে তাঁর সম্মানহানি করা হল, যে ভাবে কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল, তাকে ‘মনুষ্যত্বের নোংরা উদাহরণ’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়। ক্লাসরুমে কী ভাবে এই আচরণ করলেন অধ্যাপিকা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ সূত্রে খবর মেলে, ওই অধ্যাপিকা মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন, গোটা বিষয়টি একটি নাটকের অঙ্গ ছিল। তবে, অধ্যাপিকার সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়া প্রথম বর্ষের সেই ছাত্র সুনীর বাইনের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও অধ্যাপিকা জানান, একটি নাটকের পরিকল্পনা করেছিলেন পড়ুয়ারা। বিয়ের দৃশ্যটি ওই নাটকেরই অংশ। কিন্তু ওই অংশটি ভিডিয়ো করে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে চক্রান্ত রয়েছে বলেই দাবি অধ্যাপিকার। ঘটনার তদন্ত হোক। ওই সময় সেখানে যাঁরা ছিলেন, প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।