বিশ্বজিৎ দে, ত্রিপুরা : বর্তমান সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী সহ রাজ্যের প্রতিটি মহাকুমায় চুরি-ছিনতাই বা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পারদ সম্পূর্ণ তুঙ্গে। বিগত বাম আমল থেকে শুরু করে বর্তমান রাম আমলে চুরি রাহাজানি ছিনতাই এবং মাফিয়া রাজ অব্যাহত রয়েছে রাজ্যের প্রতিটি মহকুমা সহ রাজ্যের রাজধানীতে। উত্তর ত্রিপুরা জেলাও এসব কার্যকলাপ থেকে এক কদমও পিছিয়ে নেই। প্রসংগত 2018 এর বিধানসভা নির্বাচনের পর ত্রিপুরা রাজ্যের নতুন প্রতিষ্ঠিত বিজেপি সরকারের বর্তমান সময়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব উত্তর ত্রিপুরার বাণিজ্য নগরী নামে পরিচিত ধর্মনগরের রেলগেইট এ পেট্রোল ওয়াগণ এর উদ্বোধনের সময় বলেছিলেন যে উত্তর ত্রিপুরায় যারা তেল মাফিয়া রয়েছে, অর্থাৎ পেট্রোল চোরাকারবারীরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু বর্তমান সময়েও দিনের-পর-দিন শাসকদলের নামাবলী গায়ে জড়িয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন অর্থাৎ আইওসি থেকে কোটি কোটি টাকার পেট্রোল চুরি করছে কিছু তেলাফিয়া। জানাযায় ধর্মনগরের আইওসি অর্থাৎ রেল গেট সংলগ্ন এলাকায় দেদার ভাবে চলছে পেট্রোলের চোরাকারবার। এবং এই চোরা কারবারের মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। দিনের-পর-দিন ধর্মনগর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দুটি পেট্রলপাম্পে লক্ষ্য করা যায় পেট্রোল নেই, কিন্তু অপরদিকে রেল গেট সংলগ্ন এলাকায় কালোবাজারিদের হাত ধরে দেদার ভাবে 130 থেকে 150 টাকা প্রতি লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল। পেট্রোল চুরি চক্রের মূল পান্ডারা আব্দুল মুজিদ, রাফেল আহমেদ, বীরেন্দ্র দেবনাথ, গফুর মিয়া,আয়াজ আলী, ওরা প্রত্যেকেই শাসক দলের সমর্থক। আর এই শাসক দলের ক্ষমতা দেখিয়ে অবৈধভাবে দুর্গাপুর এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো পেট্রোল এর অবইধ গোডাউন তৈরি করে রেখেছে এই পেট্রোল মাফিয়ারা।
অপরদিকে উত্তর জেলার পানিসাগর, দামছড়া, কদমতলা ও কাঞ্চনপুর সহ গোটা উত্তর জেলায় এই শাসক দলের নেতারা কালোবাজারি ভাবে পেট্রোল পাচার করে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান রাম ভক্ত পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায়। সূত্রের খবর দুর্গাপুর এর কুখ্যাত তেল মাফিয়া আয়াজ মিয়ার হাথধরে প্রতি মাসে পুলিশ সুপার এর অফিসে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির অবয়ব ছাপানো টাকার বান্ডিল পৌঁছে যাচ্ছে।তাই হয়তোবা টাকার ওজন এ নড়েচড়ে বসতে দ্বিধা বোধ করছেন উত্তর ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর কিরণ কুমার কে।
কিন্তু দেখার বিশয় হচ্ছে এই তেল মাফিয়া দের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক বার সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিক দের হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখার বিষয় হচ্ছে শাসক দলের নেতা তথা কুখ্যাত তেল মাফিয়া আব্দুল মজিদ,আয়াজ মিয়া, গফুর মিয়া,ও বারেন্দ্র দেবনাথ ওদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার বা রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন কি পদক্ষেপ বা ভূমিকা গ্রহণ করে।