সমবায় ফুটল না পদ্ম ফুল।
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়দিঘী: দক্ষিন ২৪ পরগনার রায়দিঘী বিধানসভায় তৃণমূলের দখলে দ: জয় কৃষ্ণপুর। বুধবার ছিল সমবায় নির্বাচন। এখানে ৯ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এবং ৯টি আসনই নিজেদের দখলে নিয়েছে তৃণমূল। এই বিধানসভা থেকে পদ্মফুলকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে, এমনই দাবি শাসকের। মমতার উন্নয়নের কারণেই পদ্মফুলের থেকে ঘাসফুলেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা, দাবি জয়ী দের। দক্ষিন জয়কৃষ্ণপুর সমবায় সমিতির আসন সংখ্যা ৯টি, ভোটারের সংখ্যা ৮৯৪, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ৫টি। প্রায় ২০০ এরও বেশি ভোটে লিড করে তৃণমূল।মথুরাপুর ২নং ব্লকের নন্দকুমার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট চারটি সমবায় সমিতি আছে। তার মধ্যে তিনটি তৃণমূলের দখলে এসেছে। গতবারে ‘দক্ষিণ জয়কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিঃ’ এ ডেলিকেট নির্বাচনের ফলাফল যা হয়েছিল, তাতে বিজেপি ও তৃণমূল উভয়েই পরিচালনা করছিল। তবে এবারে নির্বাচনের মাধ্যমে তৃণমূল সব কটাই নিজেদের দখলে নিয়ে একক ভাবে বোর্ড গঠন করতে চলেছে। সমবায় সমিতির পরিচালকমন্ডলী নির্বাচনে জয়ী হয়ে এদিন উল্লাসে ফেটে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থক সকলেই। মাতেন আবীর খেলায়। সেখানে উপস্থিত হয় স্থানীয় বিধায়কও।অপরদিকে এই অঞ্চলের “মধুসুদনচক সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড” এ সম্প্রতি ডেলিকেট নির্বাচন হয়। এর মধ্যে সমবায় বাঁচাও মঞ্চ ৪১ এর মধ্যে ২৩ টি পায়। এবং বিরোধী অর্থাৎ শাসক পায় ১৮ টি। বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ এর।
বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পর রায়দিঘীর বিধায়ক ডা. অলক জলদাতা জয়ীদের সংবর্ধনা জানিয়ে বলেন, বিজেপি অনেক চেষ্টা করেছিল এই সমবায় সমিতি পরিচালকমন্ডলী নির্বাচনে জেতার জন্য। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ারে মানুষ পদ্মফুল থেকে মুখ ফিরিয়ে ঘাসফুলকেই বেছে নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সমবায় সমিতি গুলোতে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার। রায়দিঘী তার ব্যাতিক্রম নয়। এখানের মানুষ সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের উপরেই আস্থা রেখেছে। তাই এই জয়। আমরা মানুষের জন্য, সমাজের জন্য কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।