জিভে জল আসবে মেলায় এলেই।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: বাঙ্গালীর চিরকাল ডানহাত আর জ্বিবের স্বাদে প্রেম। আর এই প্রেমকে আরও অভিনবত্ব দিতে এই প্রথম হুগলীর শ্রীরামপুরের মাহেশে আয়োজন করা হয়েছে খাদ্য মেলার। শনিবার সারম্ভরে মেলার শুভারম্ভ হয়। জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন স্নান পিঁড়ির ময়দানে ফিতে কেটে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বোলন করে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন টলিউড ও টেলি সিরিয়াল খ্যাত স্বনামধন্য অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারী, সম্পাদক পিয়াল অধিকারী, সভাপতি অসীম পন্ডিত সহ অন্যনা বিশিষ্ট জনেরা।
ভোজন রসিকরা এই মেলার খবরে অত্যন্ত খুশি। খাদ্য রসিকদের রসনাকে তৃপ্ত করার মেলায় সব নামি ও দামি খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ছোট বড় ব্যবসায়ীরা। রয়েছে নিরামিষ আমিষের বহু খাদ্য সম্ভার। পাশাপাশি থাকবে রকমারী মিষ্টান্ন। রয়েছে ঢেকি ছাঁটা চালের গুঁড়োর পিঠেপুলি, দাদা বৌদির বিরিয়ানি ও বাম্বু বিরিয়ানি সহ মাংসের নানা সুস্বাদু পদ। দীঘা ও বকখালির, সুন্দরবনের ফিস সেন্টার, বিভিন্ন রকমের তেলেভাজা, নবদ্বীপের দই, মিত্র ক্যাফে, আইসক্রিম, বর্ধমানের মিহিদানা, সীতাভোগ, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, মুখরোচক তেলেভাজা, চা, পান, সকলের জ্বীবে জল আনা ফুচকাও এই খাদ্য মেলার অঙ্গ হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। এদিন উদ্বোধনের পর পর অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু জগন্নাথ মন্দিরে পূজো দেন।
২১ তারিখ উদ্বোধনের দিন থেকে ২৫ তারিখ দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গন। সব মিলিয়ে খাবারের সুগন্ধে ভরপুর মাহেশের স্নান পিঁড়ির মাঠ। এই বিষয়ে বিশ্বনাথ বসু জানান, এই প্রথম জগন্নাথ দর্শনে তিনি এসেছেন। তিনি খেতে খুব ভালোবাসেন। শনিবার তিনি নিরামিষ খান। তাই এদিন জগন্নাথের প্রসাদ খাবেন। তবে যে কোনো একদিন মেলায় এসে বিভিন্ন রকমের খাবারের স্বাদ গ্রহন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন প্রধান সেবাইত পুত্র তথা মন্দিরের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী বলেন, মেলার পাশাপাশি পাঁচ দিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন বিখ্যাত শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন রয়েছে। তাই সকলের উদ্দেশ্যে পিয়াল অধিকারী বলেন, মেলায় এসে রসনা পরিতৃপ্তীর সঙ্গে বিনোদনেও পরিতৃপ্ত হোন।