ডাকাতির পরও লকার সুরক্ষিত বলে দাবি SBI কর্তৃপক্ষর।
নিজস্ব সংবাদদাতা, মহেশতলা: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলার বাটার মোড়ে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক এ দুঃসাহসিক ডাকাতি হয় বলে অভিযোগ। শনিবার ও রবিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় সপ্তাহের প্রথম দিনে অর্থাৎ সোমবার সকাল বেলা অফিস টাইমে নিরাপত্তারক্ষীরা ব্যাংক খুলে দেখতে পায় ব্যাংকের চারিদিকে সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মহেশতলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তড়িঘড়ি এসে পৌঁছায় মহেশতলা এসবিআই শাখার ম্যানেজার সহ কর্মীরা এবং ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
সপ্তাহের প্রথম দিনে পরিষেবা বন্ধ থাকায় এবং ব্যাংকে দুঃসাহসিক ডাকাতির কথা শুনে ব্যাংকের গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ। গ্রাহকদের লকার সুরক্ষিত আছে কিনা, ব্যাংকের মধ্যে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হলো এ বিষয়ে জানতে না পেরে উপস্থিত গ্রাহকদের সঙ্গে পুলিশের বচশা চলে।
আতঙ্কিত গ্রাহকরা জানান, এর আগেও একবার দিনের বেলায় ডাকাতি হয়েছিল এই শাখায়। প্রায় এক লক্ষেরও বেশি গ্রাহক আছে এখানে, আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা এখনো জানতে পারছি না আমাদের টাকা গহনা সুরক্ষিত আছে কিনা।
ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের বাটানগর শাখায় এই ঘটনার পর লকার সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত আছে কিনা তা এখন স্পষ্ট নয়। পরিকল্পনা করে এই শাখায় ডাকাতি করা হয়েছে এমনই অনুমান পুলিশের। শুক্র, শনি ও রবিবার এই তিন রাত্রির মধ্যেই ঘটনা ঘটায় এমনই অনুমান। তবে কতজন এসেছিল, কি কি জিনিস পত্র নষ্ট করা হয়েছে তাএখনো পরিষ্কার নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপি রাহুল গোস্বামী উপস্থিত হন। ব্যাংক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে আশেপাশের বিভিন্ন জায়গার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে। ব্যাংকের ভিতরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেন। তবে দুষ্কৃতীরা ব্যাংকের ভিতরে সিসিটিভির তার কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে জড়িত ব্যাঙ্ক কর্মীরাই। পিছনের দরজা ভেঙে ব্যাঙ্কে ঢোকেন ডাকাতরা। চাবি দিয়ে খোলা হয় ব্যাঙ্কের ভল্টের দরজা, ভল্টের চাবি কোথায় পেল দুষ্কৃতীরা? ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে কি ব্যাঙ্ক কর্মীদের যোগ? এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গ্রাহক মহলে। তবে, মঙ্গলবার গ্রাহকদের ব্যাংকে আসতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।