মৃত মৎস্যজীবীদের পাশে কান্তি গাঙ্গুলী।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: ন’জন পরিবারকে ১০ হাজার টাকার চেক, এক মাসের রেশন ও পরিবারের কারোর পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাহায্য করার আশ্বাস দেয়, প্রতিবন্ধী সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।
বুধবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর তরফে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারবর্গের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় টর্নেডোর কবলে পড়ে গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া এফ.বি. গোবিন্দ নামক ট্রলারের মৃত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের হাতে এই সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।
ট্রলার দুর্ঘটনায় ন’ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে আট জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এক জন নিখোঁজ ছিলেন। অবশেষে মঙ্গলবার জম্বুদ্বীপের কাছ থেকে সেই দেহ উদ্ধার হয়।
দুর্ঘটনার পর থেকে চার দিন নিখোঁজ থাকায় উদ্বিগ্ন ছিল পাদুড়ি দাসের পরিবার, তৎপর ছিলেন প্রশাসনও। অবশেষে তার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় কাকদ্বীপ হাসপাতালের মর্গে। এদিন তাঁর পরিবারকেও ১০ হাজার টাকার চেক ও এক মাসের রেশন দেয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর তরফে।
সংস্থার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলী বলেন, এই মৎস্যজীবী পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই। যে চলে গেছে তাকে তো ফিরে পাওয়া যাবে না। তবে এই পরিবার গুলি ভেসে না যায়, আমাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। আগে আমি মন্ত্রী ছিলাম অনেক করেছি, এখন আমার ক্ষমতা নেই। আমাদের প্রতিবন্ধী সংগঠনের তরফে সামান্য কিছু সহযোগিতা করলাম অসহায় মৎস্যজীবী পরিবারদের। তিনি আরো বলেন, গোটা ভারতবর্ষে প্রায় ৫০ লক্ষের মতো মৎস্যজীবী আছে। অন্যান্য রাজ্যে লোহার তৈরি ট্রলার। কিন্তু আমাদের পশ্চিমবঙ্গে অধিকাংশ ট্রলার কাঠের। তাঁর দাবি, এখানেও লোহার তৈরি ট্রলারের প্রবণতা বাড়ানো হোক। ফলে ট্রলার ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমবে।