দুর্ঘটনা গ্রস্থ ট্রলার থেকে উদ্ধার হয় ৮ মৎস্যজীবী।
নিজস্ব সংবাদদাতা, নামখানা: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে আচমকা টর্নেডোর কবলে পড়ে ডুবে গেল একটি ট্রলার। শুক্রবার গভীর রাতে বাঘের চর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় ট্রলারে থাকা ৯ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, গভীর রাতে আচমকাই সমুদ্রে টর্নেডোর সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার জেরে এফবি বাবা গোবিন্দ নামে একটি মৎস্যজীবীদের ট্রলার উল্টে যায়। আশেপাশে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের ট্রলার এগিয়ে এসে ৮ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছেন। এখনও ৯ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন।
মৎস্যজীবীদের অনুমান, ট্রলারের মাঝি সহ আরো ৯ জন মৎস্যজীবী কেবিনের মধ্যে ছিলেন, ফলে তারা আটকে পড়ে। তাদের সন্ধান মিলছে না।মৎস্যজীবীদের একাধিক ট্রলার এগিয়ে এসে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রলারটিকে কাছি দিয়ে বেঁধে সোজা করেছেন। উত্তাল সমুদ্রের মাঝখানে ট্রলারের ভেতরে তল্লাশি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। ফলে ট্রলারটিকে উপকূলের দিকে টেনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার খবর নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের বাড়িতে পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
শনিবার দুপুরে নামখানা ঘাটে ফিরিয়ে আনা হয়েছে উদ্ধার হওয়া ৮ মৎস্যজীবীকে। নামখানা মৎস্যবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মৎস্যজীবীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালে পৌঁছায় মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টু রাম পাখিরা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এলাকায় পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও সহ সুন্দরবন পুলিশ জেলার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিলেন।
অন্যদিকে নিখোঁজ থাকা ৯ জন মৎস্যজীবীর পরিবারের লোকজন অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত নামখানা মৎস্য বন্দরে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিজনরা। নিখোঁজ মৎস্যজীবীরা কাকদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা। আজ নামখানা মৎস্যবন্দরে নিয়ে আসা হবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারটিকে। তারপরেই ওই ট্রলারে তল্লাশি চালানো হবে বলে জানা গেছে পুলিশ প্রশাসনেরতরফে।