জলের তোড়ে ভেঙেছে একাধিক নদী বাঁধ।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: নাগাড়ে বৃষ্টির ফলে ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে হুগলীর আরামবাগ ও খানাকুল পুরশুরা সহ একাধিক গ্রামে। দ্বারকেশ্বর, রূপনারায়ন ও মুন্ডেশ্বরী নদীর জল কার্যত বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। জলের তোড়ে ভেঙ্গেছে একাধিক নদী বাঁধ। কয়েক দফায় ডিভিসির ছাড়া জলে এমন ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলে অভিযোগ করছে এলাকা বাসী। আরামবাগে মুন্ডেশ্বরী নদীর জলের তোড়ে ভেঙ্গেছে নদী বাঁধ। অপর দিকে খানাকুলের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সেখানে জলের তোরে রূপনায়ায়ন নদীর বাঁধ ভেঙ্গে জেলে পাড়া ও বেরা পাড়ায় হু হু করে জল ঢুকছে। সকাল থেকেই খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে নেমেছে আরামবাগ ও খানাকুল প্রশাসন। আরামবাগ মহকুমা পুলিশ বন্যা কবলিত এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষজন ও গৃহপালিত পশু উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গেছে। উদ্ধার কাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবেলা টিম। যারা বন্যা কবলিত এলাকায় আটকে ছিল, দ্রুততার সাথে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আরামবাগ,খানাকুল ও পুরশুরা থানা থেকে ক্রমাগত মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। জলস্তর চরম বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে, তাই সাধারণ মানুষকে পুলিশের সাথে সব রকম সহযোগিতা করার কথাও মাইকে ঘোষনা করা হচ্ছে।

ডিভিসির জল ছাড়ার কারণেই রূপনারায়ন, দ্বারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরীর নদীর জল ফুলেফেঁপে উঠে হুগলীর একাধিক গ্রামে এমন ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্ঠি হয়েছে বলে গ্রামের মানুষ অভিযোগ করছেন। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় এখনও পর্যন্ত কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বন্যা কবলিত এলাকায় পুলিশ তৎপরতার সাথে একটানা কাজ করে চলেছে। ধান্যগুড়ি,কিশোরপুর,খানাকুলের পানশিউলি, রাজহাটি, বন্দিপুর, ময়াল, ঠাকুরানী চক, আরামবাগের মলয়পুর, আসলপুর, কেশবপর, হরিণখোলা, পুরশুরার শ্রীরামপুর, বালিপুর সহ বিস্তির্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বুধবার বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা বিদ্ধস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন।