রথের দড়িতে টান দিলেন রচনা ব্যানার্জি।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত রথ যাত্রাগুলোর মধ্যে অন্যতম হুগলীর বলাগরের গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। কথিত আছে ১৭৪০ সালে প্রথম এই রথের প্রচলন করেন মধুসুদানন্দ। আবার অনেকের মতে এই রথের প্রচলন করেছিলেন পিতাম্বরানন্দ। এখানে জগন্নাথ দেবের রথকে বৃন্দাবন জিউর রথ বলে। অনেক দুর দুর থেকে ভক্তরা গুপ্তিপাড়ার রদযাত্রা উৎসবে যোগ দিতে ভীড় করেন মন্দির প্রাঙ্গনে। এদিন জগন্নাথ,সুভদ্রা ও বলভদ্র রথে চড়ে সাতদিনের জন্য বেড়াতে যান গোসাইগঞ্জের বড়বাজার সংলগ্ন এলাকায় মাসির বাড়িতে। সব রকমের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা।
হুগলী গ্রামীণ পুলিশের বিভিন্ন থানার অফিসার, ও অন্যান্য আধিকারিকগন উপস্থিত ছিলেন। গুপ্তিপাড়ার রথের উচ্চতা প্রায় ৩৬ ফুট, চওড়া ৩৪ ফুট। এখানকার রথের দড়িতে টান পরে বেলা ১২ টার সময়। হুগলীর নব নির্বাচিত সাংসদ রচনা ব্যানার্জী রথের দড়িতে টান দিয়ে রথ চলার সূচনা করেন। গুপ্তিপাড়ার রথের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল ভান্ডার লুট। ভারতবর্ষের মধ্যে একমাত্র এখানে এই ভান্ডার লুঠ অনুষ্ঠান হয়। এটি একটি অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ন অনুষ্ঠান। উল্টোরথের আগের দিন এই ভান্ডার লুঠ অনুষ্ঠানটি হয়। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে মন্দির চত্বরে মেলাও বসে।