বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: বিজেপি করার অপরাধে এক ব্যাক্তিকে গনপ্রহারের শিকার হতে হল। এই ঘটনায় গুরুতর আহত সমীরণ মুর্মূ নামে এক ব্যাক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর ধনিয়াখালি বিধানসভার অন্তর্গত কানানদী ধানকল এলাকায়।
এই ঘটনায় অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বদের থেকে জানা যায়, সমীরণ মুর্মূ বিজেপির একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি ধনিয়াখালির পাঁচ নম্বর মন্ডলের সহ সভাপতি। লোকসভা নির্বাচনের গণনায় দেখা যায়, এই বুথ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক পিছিয়ে পরে। এইঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সমীরনের উপর একটা আক্রোশ ছিল। রবিবার রাত ৮.৩০ মিনিটে কানানদী ধানকল মোড়ে একটি চায়ের দোকানে বসেছিল। একা পেয়ে সেই সময় তৃণমূলের ১২ – ১৩ জন দুস্কৃতি তাকে তুলে নিয়ে যায়। নদীর পারে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বাঁশ, রড দিয়ে প্রচন্ড মারধোর করে আধমরা করে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা ঘটনার কথা জানতে পেরে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিজেপি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।
কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মত সমীরণকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সমীরণের মাথায় ১৮ টা ও মুখে একটা সেলাই হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ধনিয়াখালির পুলিশ। এই বিষয়ে বিজেপির হুগলীর সাধারণ সম্পাদক সুরেশ শাউ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ভেবেছে এই ভাবেই অত্যাচার করে ভয় দেখাবে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। ধনিয়াখালির বিধায়ক তার দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিজেপি মুক্ত ধনিয়াখালি করবে। কিন্তু তাদের এই ভাবনা ভুল। আগামী দিনে বিজেপি এই সব কিছুর যোগ্য জবাব দেবে। এই বিষয়ে জানার জন্য ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। আক্রান্ত সমীরণের মা সরমা মুর্মু, বিজেপি হুগলী জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার ধনিয়াখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান।