CAA নিয়ে আতঙ্কে আত্মঘাতী যুবক।
বন্দনা ভট্টাচার্য, কলকাতা: নির্বাচনের আগে দেশ জুড়ে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA। এই নয়া আইন ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে CAA আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। মৃত যুবকের নাম গোপাল ওরফে দেবাশীষ সেনগুপ্ত। বয়স বত্রিশ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন চব্বিশ পরগনার সুভাষনগরে। সূত্র মারফত জানা যায়, দেবাশীষ যাদবপুর নেতাজী নগরের বাসিন্দা। সুভাষ নগরে তার মামা বাড়ি। এখানে তিনি প্রায়শই আসতেন। গত বুধবারও মামা বাড়িতে আসেন, বৃহস্পতিবার তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়। সোনারপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। দেবাশীষের পরিবারের দাবি CAA কার্যকর হওয়ার কথা ঘোষনা হতেই দেবাশীষ মানষিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। তার বাবা – মার কাছে প্রয়োজনীয় নথী না থাকার কারণে তিনি নাগরিকত্ব হারাতে পারেন ভেবে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। বারংবার সবাইকে বলতেন, দেশ থেকে বিতাড়িত হলে কোথায় যাবো।
এই কারনেই অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করেছেন, বলে পরিবার ও প্রতিবেশিদের দাবী।
দেবাশীষের মৃত্যুর পর তার বাবা নেতাজীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দেবাশীষের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তার বাড়িতে বিশিষ্ট ব্যাক্তি, অন্যান্য নেতৃত্ব পৌছিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, যেই বাঙালী নিজের রক্ত ঝড়িয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। আজকে সেই বাঙ্গালীকেই তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রমাণ দিতে হবে। যেখানে বাঙ্গালী বেশী সেই ত্রিপুরা পশ্চিমবঙ্গ আর আসামে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনা হয়েছে। বাংলা পক্ষের সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুধু মাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের এই নিয়মের কারণে দেবাশীষের মত তরতাজা এক যুবকের মৃত্যু হল।
দেবাশীষের পরিবারের সাথে দেখা করতে এসে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী বলেন, দেবাশীষের মৃত্যুর জন্য একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। CAA কার্যকর করে দেবাশীষকে কার্যত আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।