সুপ্রিয় গাঙ্গুলী, হাওড়া: চটকল শ্রমিকদের উপর মালিকদের জুলুম এর প্রতিবাদে বাউড়িয়া গ্লস্টার জুট মিল গেটের সামনে গেট সভা করলো সি.আই.টি.ইউ শ্রমিক সংগঠন। একদিকে রাজ্যের সরকার শ্রমিকদের বর্তমান বাজার মূল্যের হিসাবে সূচক অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে না। অন্য দিকে কেন্দ্রের সরকারের কাছে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা দাবি করে আসছে নূন্যতম ছাব্বিশ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে।
বেতন বৃদ্ধিসহ একাধিক দাবিতে 28শে মার্চ ও 29শে মার্চ দুইদিন ধরে ধর্মঘটে অংশ নিয়ে ছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।মূল্যবৃদ্ধির ফলে শ্রমিকরা তাদের সচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করতে হিমশিম খাচ্ছে। সন্তান দের লেখাপড়া ও সংসারের একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।মালিকরা কারখানার মধ্যে শ্রমিকদের উপর উৎপাদনের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। কারখানার কাঁচামালের গুনগত মান ভালো না হওয়ার জন্য শ্রমিকরা উৎপাদনও সঠিক ভাবে দিতে পারছে না। মিল কর্তৃপক্ষ জোর করে শ্রমিকদের নাম রেজিস্টার খাতা থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে। শ্রমিকরা কাজের চাপ নিতে না পেরে কারখানায় উৎপাদনে অংশ নিচ্ছেনা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিক দের নাম রেজিস্টার খাতা থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে। মালিকরা এই সুযোগ টাকে কাজে লাগিয়ে বহিরাগত শ্রমিক (ক্যাজুয়াল লেবার) দের দিয়ে কম টাকায় কাজ করিয়ে নিচ্ছে। মিল মালিকরা তাহাদের মুনাফা বাড়িয়ে নিলেও শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন দিতে অস্বীকার করছে।
কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকার এই বিষয় এ নীরব থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করছেন। কারখানার শ্রমিকরা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) তারা বলছেন মালিকের প্রতিনিধি অর্থাৎ মিল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ভাবে শ্রমিক দের হেনস্থা করছে।প্রতিবাদ করলে কাজের জায়গায় কাজ থেকে বঞ্চিত করছে, সেই জায়গায় ক্যাজুয়াল শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। আজকে তাই মিল গেটের সামনে সি.আই.টি.ইউ শ্রমিক সংগঠন গেট সভা করেন।
উপস্থিত ছিলেন গল্স্টার বি.সি.এম. ইউ সম্পাদক রামলাল পাশি। বক্তব্য রাখেন পি.এফ ট্রাস্টি সদস্য জাখির হোসেন, বিষ্ণু পদ দাস। সি.আই.টি.ইউ নেতা সেলিম মোল্লা ও গৌতম মল্লিক।