নিউজ ডেস্ক,নিউজ দিগন্ত বার্তা:সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতে তৎপর হল রাজ্য সরকার। মধ্যস্বত্ব ভোগী ও ফড়েদের তৎপরতা আটকাতে এবার রাইস মিলগুলির জন্য ধান সংগ্রহ করার জায়গা বারবার পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। ধান সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা পারচেজ অফিসারদেরও বারবার বদলে দেওয়া হবে।
চলতি মরশুমে গত পয়লা নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের নেতৃত্বে আধিকারিকরা সম্প্রতি সব জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চূয়াল বৈঠক করে ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে একটি রাইস মিল কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই ধান কিনতে পারবে না। প্রতিমাসে ধান সংগ্রহকারী আধিকারিককে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোনও মধ্যস্থতাকারী যেন পৌঁছতে না পারে আধিকারিকদের সেই দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। নজরদারির জন্য ২৩ জেলায় পৃথক নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে।
এর আগে ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সংগ্রহ কেন্দ্রে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা এবং চাল কলে সেই ধান থেকে চাল বের করার সামগ্রিক প্রক্রিয়াটিই ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত ভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে খাদ্য দফতর একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে বলে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন। তিনি জানান, ধান সংগ্রহ ও চাল সরবরাহের প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি সংগ্রহকেন্দ্র থেকে চাল কলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত গাড়ির ওপর জিপিএস মারফত নজরদারি করা হচ্ছে। প্রত্যেক সংগ্রহ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের প্রতি ১৫ দিন অন্তর বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর। ভ্রাম্যমাণ সংগ্রহকেন্দ্রগুলির ওপরেও কেন্দ্রীয় ভাবে নজরদারি চালানো হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।