নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের পরেই বানারহাটের পথে বেরিয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এক বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে চা পান করেন। গল্প করেন। বৃদ্ধা জানান, তাঁর অনেকদিনের আশা পূরণ হল।
এদিন বানারহাটের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখতে রাস্তার দুধারে ভিড় জমে যায়। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। শিশুদের কাছে টেনে নিয়ে আদর করলেন। উপহার দেন চকলেট, টেডি, খেলনা, বল। গ্রামে ঘুরতে ঘুরতেই মমতা ঢুকে পড়লেন বানারহাট ১নং কলোনির নারু ভদ্রের বাড়িতে। দেখা করেন তাঁর অশীতিপর মা প্রতিভা ভদ্রের সঙ্গে। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথা বলেন। ঘরের বিছানয় বসেই চা পান করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিভার পুত্রবধু দীপা ভদ্র পোখরেলের হাতের তৈরি চা- খেতে খেতে পারিবারিক গল্প করেন পাশের বাড়ির মেয়ের মতো। বাঙালি পরিবারে নেপালি মেয়ের বিয়ে হওয়ায় তিনি নিজের পরিবারের কথা টেনে আনেন। বলেন, তাঁর ভাইপোর বিয়েও হয়েছে নেপালি পরিবারে। বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই সব কথা জানান মমতা। বৃদ্ধা প্রতিভা ভদ্র জানান, তাঁর বহুদিনের ইচ্ছে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার। এদিন তাঁর সেই সাধ নিজেই পূরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপ্লুত প্রতিভাদেবী।
ওই বাড়িতে প্রায় আধঘণ্টা কাটিয়ে ফের গ্রামের পথে হেঁটে বেড়ান মুখ্যমন্ত্রী। বানারহাট সেচ বাংলোতে যাওয়ার আগে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গেও ফটো তোলেন, তাদের হাতে উপহার হিসেবে হাতের কাছে থাকা বল তুলে দেন মমতা। এরপর তিনি সেখান থেকে সোজা চলে যান সেচ দফতরের বাংলোতে।শনিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ার পৌঁছে সাধারণ মানুষের মনের কথা জানতে,রাজপথে নেমে তাদের কথা শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পথে দাঁড়িয়েই নানা বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশও দেন তিনি। রবিবার আলিপুরদুয়ার শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে সরকারি পরিষেবা প্রদানের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত হতেই দিদি দিদি চিৎকারে ভেসে গেল সভাস্থল। এবার বেশ কয়েক মাস পরে আলিপুরদুয়ার আসলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তাকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল যথেষ্ট উন্মাদনা। সভার সময় ছিল দুপুরে। তবুও ঘন কুয়াশার মধ্যেই ভোরবেলা থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করে প্যারেড গ্রাউন্ডে।