বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: সকল কৃষককে বীমার আওতায় আনার জন্য অভিনব উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। এটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও বাজাজ অ্যলিয়েন্স জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানির মিলিত উদ্যোগ। এই বীমা কৃষকদের সব রকম বিপর্যয়ের রক্ষা কবজ। বাংলার কৃষকদের সচতনতা বাড়াতে ও বীমা সম্পর্কে অবগত করতে একটি ট্যাবলোর শুভ উদ্বোধন করা হল। হুগলীর চুঁচুড়ার ধান্য গবেষনা কেন্দ্র থেকে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ট্যাবলোর উদ্বোধন করেন হুগলীর জেলা শাসক মুক্তা আর্য।
উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিশিষ্ট আধিকারিকগণ। প্রচারের জন্য ট্যাবলোটি জেলার প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘুরবে। প্রশাসনের লক্ষ্য প্রত্যেক কৃষককে এই বীমার আওতায় আনা। বীমা করার উদ্যেশ্য হল যদি কখনও কোনো বিপর্যয়ের কারণে ফসলের ক্ষতি হয় তাহলে বীমা কোম্পানি থেকে ক্ষতি পূরনের সম্পুর্ন অর্থ পেয়ে যাবে। এই বীমা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে হবে। এর সব প্রিমিয়াম দেবে রাজ্য সরকার। সুবিধা পাবে কৃষকরা।
বীমার নিয়ম অনুযায়ী আলু চাষের ক্ষেত্রে ৪.৮৫ শুল্ক কৃষককে দিতে হবে। বাকি অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে নিঃশুল্ক বীমার প্রিমিয়াম দেবে রাজ্য সরকার। এই প্রশঙ্গে বীমা আধিকারিক অমিতেন্দু পাল জানালেন কৃষকরা ৩১ /১২/ ২৩ বোরোর জন্য ৩১/ ১ / ২৪, তিল, বাদামের জন্য ১৫/৩/২৪ তারিখের মধ্যে বীমার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। গত বছর ৪,১৫,২৮০ জন কৃষক এবং ৯৮৮৭৫ হেক্টর জমি তাঁরা এ আওতায় এনেছিলেন। এই বছরে এর বেশী কভার করার আশা রাখছেন বলেও জানিয়েছেন অমিতেন্দু পাল।