বন্দনা ভট্টাচার্য্য, কোলকাতা : বুধবার ভারতীয় জনতা পার্টির হাইভোল্টেজ জনসভা ছিল। সেই জনসভা থেকে জনসাধারণের উদ্যেশ্যে বার্তা দেওয়ার জন্য কোলকাতায় এসেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও উচ্চ নেতৃত্ব, কর্মী সমর্থকরাও উপস্থিত হয়েছেন সভাস্থলে। প্রতিবছর তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ স্মরণ সভা যেখানে হয়, ঠিক সেখানেই বিজেপির সভার আয়োজন করা হয়েছে। মঞ্চের তিনটি স্তরের মধ্যভাগে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সাথে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার,ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দ্বিতীয় স্তরে আছেন রাজ্যের বিশিষ্ট নেতানেতৃ বৃন্দ, এবং তৃতীয় স্তরে রয়েছেন রাজ্যের বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। মঙ্গলবার রাতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সভাস্থলে কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত হয়েছেন। তাদের থাকার জায়গা করা হয়েছে ঠনঠনিয়া ভবনে। যে সব কর্মী সমর্থকরা কোলকাতার উপকন্ঠে থাকেন এবং কাছাকাছি থাকেন, তাঁরা বুধবার সকালে সভাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। হুগলীর শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার কর্মী সমর্থকরা এদিন সভাস্থলে যাওয়ার উদ্যেশ্যে ট্রেনে হাওড়া গিয়ে হাওড়া থেকে হেটে যাত্রা শুরু করলে আকাশ বাণী ভবনের কাছে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। তাদের হাতে দলীয় পতাকা ছিল। পুলিশের বক্তব্য পতাকা নিয়ে সভাস্থলে যাওয়া যাবেনা।
এই নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সাথে পুলিশের বচসা শুরু হয়। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অমানিশ আইয়ার ফোনে জানিয়েছেন, বচসা হওয়ার সময় পুলিশ তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি কোনো মহিলা পুলিশ ছাড়াই বিজেপির মহিলা কর্মীদের বাঁধা দিয়েছে, গায়ে হাত দিয়েছে,ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ। এতে কয়েকজন মহিলাকর্মী সামান্য চোট পেয়েছে। কিন্তু সভায় যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী ছিল। সেই কারণে ডাক্তারি পরীক্ষা করা বা প্রাথমিক চিকিৎসা করার সময় হয়নি। অনেক তর্ক বির্তর্কের পর তাঁরা সভাস্থলে পৌছাতে সমর্থ হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের কোনো সম্মান নেই এটা আবারও একবার প্রমাণিত, বলেও জানিয়েছেন অমানিশ আইয়ার।