আগামী নির্বাচনে মানুষই কেন্দ্রীয় সরকারের মিথ্যাচারের জবাব দেবে বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার।
নিউজ ডেস্ক, কুলপি : কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দলীয় কার্যালয়ে বিজয়া সম্মেলনী ও সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদার, কুলপি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সামসুর আলম মীর সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ ও কর্মী সমর্থকগণ। এদিন কুলপির দলীয় কার্যালয়ে বিজয়া সম্মেলনীর পর সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ভাবে বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার।
একশ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ, যব কার্ড হোল্ডারদের বঞ্চনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীন সড়ক যোজনার বকেয়া, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বকেয়া, জাতীয় সামাজিক প্রকল্পের বকেয়া সহ অন্যান্য বিষয়েও বাংলার প্রতি মোদী সরকারের বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। সাধারণ মানুষের একশ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার বকেয়া পুরণের দাবীতে অভিষেক ব্যানার্জী দিল্লীতে ধর্নায় বসেছিলেন। সেই বার্তা সমাজের নীচের তলার মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছিল। কুলপি বিধানসভার চোদ্দটার মধ্যে দশটা গ্রাম পঞ্চায়েতে সেই কর্মসূচি পালনও করা হয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষকে বোঝানো হচ্ছে বকেয়া অর্থ না পাওয়ার কারণে তারা যে সমস্যায় পড়েছেন, এর জন্য একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলন করে চলেছে।

ভারতীয় জনতা পার্টির যে সব নেতা মন্ত্রীরা রাজ্যে রয়েছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গকে সাহায্য করতে মোদী সরকারকে বাধা দিচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদ একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করেন। তাই এনাদের ইডি সিবিআই দিয়ে প্রতি নিয়ত হেনস্থা করা হচ্ছে। বকেয়া চাইলেই কোনো না কোনো নেতা মন্ত্রীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের জেলে ভরা হচ্ছে। এইসব করে কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের চোখে তৃণমূল কংগ্রেসকে ছোট করতে চাইছে। যাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে মানুষ এই দলকে প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু এইসব করে মানুষকে বোকা বানানো যাবেনা। তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যেক ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের কাছে গিয়ে সত্যটা তাদের মধ্যে তুলে ধরবে। আর আগামী নির্বাচনে মানুষই কেন্দ্রীয় সরকারের মিথ্যাচারের জবাব দেবে বলেও জানান বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার।