পর্যটন কেন্দ্র গড়তে চাইলে ব্যাঙ্ক থেকে সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারবেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা : পর্যটনক্ষেত্রকে শিল্পের স্বীকৃতি দিল রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বলে খবর সূত্রের। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শিল্পপতি ও বণিকসভার পক্ষ থেকে পর্যটনকে শিল্পের তকমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন।
পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, শিল্পের তকমা পেলে পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে। যাঁরা পর্যটন কেন্দ্র গড়তে চান, তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে সহজ শর্তে বড় অঙ্কের ঋণ পেতে পারবেন। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়েও সুবিধা হবে। ‘ফ্রি হোল্ড’ অর্থাৎ লিজে পাওয়া জমির মালিকানা পেতে সুবিধা হবে। জমির চরিত্র বদল সহজে করা যাবে। জল, বিদ্যুৎ, বিনোদন সংক্রান্ত করের ক্ষেত্রে প্রচুর ছাড় পাওয়া যাবে। এক জানালা পদ্ধতির মাধ্যমে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র সহজে মিলবে। শিল্পের জন্য রাজ্য সরকারের যে বিশেষ নীতি রয়েছে পর্যটন ক্ষেত্রের জন্য তা প্রযোজ্য হবে। পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে।কেরালা ছিল ভারতের প্রথম রাজ্য যেটি পর্যটনকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে এগারোটি রাজ্য পর্যটনকে “শিল্প” মর্যাদা দিয়েছে।সেই তালিকায় পশ্চিম বঙ্গের নাম ও যোগ হতে চলেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠনের পরই মুখ্যমন্ত্রী পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তিনি রাজ্যের যে প্রান্তেই গিয়েছেন, সেখানে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলায় দিশা দেখিয়েছেন। গজল ডোবা পর্যটন কেন্দ্র তাঁরই ভাবনার ফসল। বাঙালিরা ভ্রমণপিপাসু, তাই পর্যটনকেন্দ্র যত বাড়বে তত সেই এলাকার আর্থিক উন্নয়ন ঘটবে। এই ক্ষেত্রটিকে আরও উন্নত করতেই। শিল্পের তকমা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রশাসক মহলের একাংশ।